করোনাভাইরাস
হয়নি। অথচ করোনা ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপে ঘরের মাটিতে পাঁচ ম্যাচ টি-২০
সিরিজ খেলতে পারছেন না মুশফিকুর রহিম। দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের
সিরিজ মিস করা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিসিবি এবং ক্রিকেটাররা। যদিও
দুই দেশের ক্রিকেটীয় সু-সম্পর্কের জন্য কেউই নাম প্রকাশ করতে চাইছেন না।
মুশফিক বলি হলেন অস্ট্রেলিয়ার ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন শর্তের জন্য। সিরিজ
খেলতে আসতে যে কয়টি শর্ত জুড়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তার অন্যতম ছিল দলটির বিপে
কোনো ক্রিকেটারকে খেলতে কমপে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
অবশ্য
অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া পূরণ করতে যেয়ে বিসিবিকে অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়েছে। যার
অন্যতম হচ্ছে টিম হোটেলের জিমনেশিয়াম ব্যবহার করতে পারবেন না
মাহমুদুল্লাহরা। বিষয়টি নিয়ে কিছু করার নেই বলে জানান বিসিবি সিইও
নিজামুদ্দিন সুজন, ‘সিরিজটি আয়োজন করতে অস্ট্রেলিয়ার দাবিগুলো মেনে নিতেই
হয়েছে। আমাদের কিছু করার ছিল না।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজে টি-২০ সিরিজ খেলতে
রাজী ছিলেন না মুশফিক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার শর্ত মেনে নিতে রাজী হয়েছিলেন।
কিন্তু বাবা ও মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হারারেতে টি-২০ সিরিজ না খেলেই দেশে
ফেরেন মুশফিক। দেশে ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপে সিরিজ খেলতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু জৈব বলয় সুরায় ঢোকার ১০ দিনের শর্ত পূরণ হয়নি বলে খেলার সুযোগ
পাননি। অস্ট্রেলিয়ার এ কঠিন শর্ত মেনে নিতে না পেরে হারারে থেকে ফিরে আসা
হতাশ বিসিবির এক পরিচালক বলেন, ‘মুশফিকের সঙ্গে যা করা হয়েছে, সেটা
কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তিনটি বিমানবন্দর (হারারে, লন্ডন, দোহা)
হয়ে ঢাকায় এসেছি। তাতে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। পারিবারিক কারণে মুশফিক
সিরিজের মাঝপথে চলে আসেন। মাত্র দু-তিন দিনের জন্য তাকে কোয়ারেন্টাইনে
সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’
কিন্তু সুযোগ না দেওয়াটা সঠিক কাজ হয়নি।’
অবশ্য
ক্রিকেট বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পরিচালক বলেন, ‘দুই দেশের
ক্রিকেট বোর্ডের জৈব বলয় নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে মুশফিকের সুযোগ ছিল
না।’
দুই দেশের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে ৩ আগস্ট। ইতিমধ্যেই
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ‘টিম হোটেল’ ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন
দিনের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে হারারে থেকে ঢাকায় আসে
মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। বার্বাডোজ থেকে একই দিন বিকালে ঢাকায় পা রাখে
অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের সিরিজের ম্যাচগুলো হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা
স্টেডিয়ামে ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট।