গাজীউল হাসান খান ||
পলায়নপর
মার্কিন সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রত্যাহার এবং ওয়াশিংটনের প্রশাসনিক
প্রক্রিয়ায় লড়াকু আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ অনেকটাই এখন তালেবানের কিছু
কার্যকর সিদ্ধান্তের ওপর থমকে আছে। এ সংকট মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক কিংবা
আস্থার সংকট বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তালেবান কোনো সাধারণ একটি লুটেরা বাহিনী
নয়। পাশ্চাত্যের তথাকথিত আধুনিক শিা ও বৈশ্বিক রাজনীতির ধারার সঙ্গে তাল
মেলানো তাদের পে অনেক েেত্র দ্বন্দ্বমূলক ও সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে মূলত ধর্মীয়
কারণে। তালেবান আফগানিস্তানে ইসলামী নীতি-আদর্শ ও শরিয়া আইনের বাস্তবায়ন
চায়। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আফগানিস্তানে একটি ইসলামী শাসনব্যবস্থা ও
সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এটি কোনো অসংগত বিষয় কিংবা আন্তর্জাতিক আইনের
পরিপন্থী কিছু নয়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব বেশির ভাগ েেত্রই ইসলামের নাম
শুনলেই আঁতকে ওঠে এবং হন্যে হয়ে পড়ে তাদের বেশির ভাগের বেলেল্লাপনা ও অবাধ
খোলামেলা জীবনব্যবস্থাকে ধরে রাখতে। এ কথা ঠিক, যথাযথ ইসলামী শিার অভাবে
তালেবানসহ আফগানিস্তানের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে এখনো কিছুটা ধর্মান্ধতা
কিংবা ধর্মীয় গোঁড়ামি কাজ করে, যা অলঙ্ঘনীয় নয়। সবই সময় ও সুযোগের
ব্যাপার। আফগানিস্তানে নারী শিা বিস্তার কিংবা বিভিন্ন েেত্র মানবাধিকারের
প্রশ্নে তালেবানের মধ্যেও ক্রমেই পরিবর্তনের ধারা ল করা যাচ্ছে। তবে ইসলামী
আইন ও শাসনব্যবস্থার ব্যাপারে তারা আপসহীন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়
দুর্নীতি ও লুণ্ঠন, সমাজে ধর্ষণসহ বিভিন্ন অনাচার ও শাসনের নামে
শোষণ-বঞ্চনা তালেবানের খাতায় নেই।
এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে ওপরে
উল্লিখিত বিষয়গুলো বর্তমান মুসলিমবিশ্বের রাজনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো
বোঝেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তিনি এমন একটি দেশের
রাষ্ট্রপ্রধান, যার প্রায় সব মানুষই ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং এ দেশটি হচ্ছে
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউরোপ এসে মিলিত
হয়েছে এশিয়া মহাদেশের সঙ্গে। বর্তমান তুরস্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর
দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হয়েও এ দেশটির রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও প্রশাসন থেকে
ইসলামিক ব্যবস্থার পরিপন্থী আইন-কানুন বাদ দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে
বদ্ধপরিকর। পশ্চিমা ধারার শিায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেও
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একজন কোরআনে হাফিজ, অর্থাৎ সম্পূর্ণ কোরআনটি তাঁর
মুখস্থ রয়েছে। সে কারণেই সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে
বিদায় নেওয়ার আগে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তদারকি কিংবা রণাবেণের
দায়িত্ব আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ওপর। চারদিকে ভূমিবেষ্টিত
আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে কাবুল
বিমানবন্দর। এ ছাড়া রাজধানী কাবুলেই অবস্থিত আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনেতিক
সম্পর্ক রয়েছে এমন সব দেশের দূতাবাস। সুতরাং কাবুল বিমানবন্দর ও দূতাবাসের
নিরাপত্তার দায়িত্ব একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দূতাবাসের নিরাপত্তার
দায়িত্ব বর্তমান আফগান সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকলেও বিমানবন্দরের দায়িত্ব
সম্পূর্ণভাবে তুরস্কের হাতে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বড় আপত্তি
দেখা দিয়েছে তালেবানের মধ্যে। তাদের দাবি হচ্ছে, মার্কিন দখলদার বাহিনীর
সঙ্গে সঙ্গে ন্যাটোর সব সেনা সদস্যকে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যেতে হবে।
মুসলিম দেশ হলেও তুরস্কের েেত্রও এ ব্যাপারে কোনো ব্যত্যয় ঘটতে পারবে না।
নতুবা তুরস্কের সেনাদের তালেবান দখলদার বাহিনী হিসেবে গণ্য করবে এবং
তালেবানের সম্ভাব্য হামলা থেকে তারাও মুক্ত বলে গণ্য হবে না। তাহলে কি
তুর্কি বাহিনীকেও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ত্যাগ করে পরে আবার ফিরে আসতে
হবে? এই অন্তর্র্বতীকালীন অবস্থায় কী হবে ন্যাটো বাহিনীর রেখে যাওয়া বিপুল
সামরিক সরঞ্জাম ও যোগাযোগের েেত্র বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির রণাবেণ নিয়ে?
আগামী
মাসের শেষ অর্থাৎ আগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যে সব আমেরিকান সেনার আফগানিস্তান
ত্যাগের ঘোষণার পর থেকেই আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখল
করতে হন্যে হয়ে উঠেছিল তালেবান। তাদের আক্রমণের মুখে আফগানিস্তানের উত্তর
সীমান্তবর্তী তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান ও এমনকি উজবেকিস্তানে আশ্রয় নিতে
বাধ্য হয়েছে আফগানরা। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারি বাহিনীর
সদস্যরাও পালিয়ে যেতে শুরু করেছিলেন অস্ত্র ফেলে দিয়ে। সরকার ও সরকারি
বাহিনীকে হটিয়ে পুরো আফগানিস্তানের দখল নিতে তৎপর হয়ে উঠেছিল তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটো সামরিক বাহিনীর প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে তারা এ
কাজটি সম্পন্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বাধার মুখে তারা আপাতত তাদের গতিবিধি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ
করতে বাধ্য হয়েছে। এর আগে তালেবান তুরস্কের সেনাদের ‘দখলদার বাহিনী’ কিংবা
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নানা রকম কটুবাক্য উচ্চারণ করতেও
দ্বিধাবোধ করেনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট তাদের সংযত হতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বলেছেন, উত্তেজনার মাধ্যমে আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান হবে না। তালেবান
নিজ দেশে তার মুসলিম ভাইদের জমি জোর করে দখল করছে। এটি অবশ্যই ইসলামের
নীতিবিগর্হিত একটি কাজ। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা আফগানদেরই
সম্মিলিতভাবে করতে হবে, বিচ্ছিন্নভাবে নয়। আফগানিস্তানের জন্য সম্মিলিতভাবে
একটি ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে নতুবা সংঘাতময় আফগানিস্তানে আবার
বিদেশি শক্তির উপস্থিতি দেখা দিতে পারে। এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক একটি
মুসলিম রাষ্ট্র। আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের অর্থাৎ হাজার বছরের
সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণে সৎ প্রতিবেশী ও মুসলিম বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে
আফগানিস্তানের প্রতি তুরস্কের কিছু দায়দায়িত্ব ও পরিকল্পনা থাকতেই পারে।
সেগুলো নিয়ে দুই পরে মধ্যে গভীর চিন্তা-ভাবনাপ্রসূত আলোচনার অনেক কিছু
রয়েছে। তুরস্কের কোনো আলোচনাই তালেবানকে বাদ দিয়ে হবে না। এ ব্যাপারে
তুরস্ক পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে এগোচ্ছে বলে জানা
গেছে। তালেবান তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনীহা প্রকাশ করেছে বলে এরই
মধ্যে যে গুজবের সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন আস্তে আস্তে চাপা পড়ে যাচ্ছে।
আলোচনার ব্যাপারে দুই পই এখন নমনীয় হচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহল থেকে আভাস পাওয়া
গেছে। তবে আলোচনার আগে দুই পই এখন বেশ কিছুটা চাপ সৃষ্টির প্রয়াস পাচ্ছে
বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা আফগানিস্তানের
ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শান্তির প্রশ্নেই অত্যন্ত জরুরি, যা
মুসলিমবিশ্বের আর অন্য কেউ করতে পারবে না। এ কথাটি সাম্রাজ্যবাদী
যুক্তরাষ্ট্রও অনুধাবন করতে পেরেছিল। এরদোয়ান একজন প্রবীণ, কৌশলী ও চতুর
রাজনীতিক। মতাসীন হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রেসিডেন্ট (বাইডেন)
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে মতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনিই এখন
আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছেন। এ
েেত্র এরদোয়ান যেমন একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে হাতে রাখার চেষ্টা
করছেন, অন্যদিকে পাকিস্তান এবং মতাসীন আফগান সরকার ও বৃহত্তর জনগণকেও মিলিত
করার প্রয়াস পাচ্ছেন। আফগানরা এরই মধ্যে চীন, রাশিয়া, ভারত ও ইরান সরকারের
সঙ্গে নিরাপত্তা ও বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে আলোচনা করেছে।
সুতরাং তুরস্কের সঙ্গে তালেবানের দ্বিপীয় বৈঠক এখন সময়ের ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদীন সম্প্রতি তুরস্কের
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটির সঙ্গে এক সাাৎকারে বলেছেন, ‘তুরস্ক আমাদের
বন্ধুপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্র। আমরা তুরস্কের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে
চাই।’ আফগানিস্তান একটি ইসলামী সরকার গঠন করতে চায়, যাতে সবার অংশগ্রহণ
সমানভাবে কাম্য। কাবুল বিমানবন্দর ও বিদেশি দূতাবাসের নিরাপত্তার স্বার্থে
তুরস্কের সঙ্গে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকেও অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা
চলছে বলে জানা গেছে। কাবুল বিমানবন্দর ও তার আশপাশে ৭০ হাজার টন সামরিক
সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। সেগুলো কাবুল বিমানবন্দর ও আফগানিস্তানের
বৃহত্তর নিরাপত্তার প্রশ্নে কাজে লাগাতে হবে। এ ছাড়া আফগানিস্তানের
শান্তি-শৃঙ্খলা ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার প্রশ্নে (অর্থনৈতিক ও সামরিক)
সম্মিলিতভাবে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি
কাজ। তার শর্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যদেরও মানতে হবে। আফগানিস্তানের
অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি হস্তপে কিংবা আফগানিস্তানের মাটিতে আল-কায়েদার
মতো জঙ্গি বাহিনীকে স্থান দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকতে
হবে এবং তা সবাইকে মেনে চলতে হবে।
আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ কিংবা
দেশের সংবিধানে তালেবানসহ বিভিন্ন বাহিনীর ভূমিকা ও অবস্থানও সুনির্দিষ্ট
করতে হবে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হামলা শুরু করে।
উদ্দেশ্য ছিল নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরের ১১
তারিখে আল-কায়েদা জঙ্গি বাহিনীর হামলার প্রতিশোধ নেওয়া। অথচ আল-কায়েদা
জঙ্গি বাহিনী কিংবা তার নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তালেবানের কোনো
সম্পৃক্ততা কিংবা সংস্রব ছিল না। এই বক্তব্য তালেবান নেতাদের। তখন থেকে
বিগত ২০টি বছর তালেবান অপো করেছে তাদের হাতে মতা ফিরে পাওয়ার জন্য। এরই
মধ্যে মতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট হামিদ কারজাই ও আশরাফ ঘানির
আফগান জাতীয় সরকার। এই দীর্ঘ সময়জুড়ে তালেবান অপো করছিল কবে আমেরিকার
দখলদার ও ন্যাটোর সেনাবাহিনী ফিরে যাবে এবং তারা আবার আফগানিস্তানে একটি
ইসলামী সরকার গঠন করবে। এ ব্যাপারে তাদের এখন সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে
হবে। তালেবান নেতারা বলেছেন, তাঁরা আফগানিস্তানে আর কোনো গৃহযুদ্ধ চান না।
গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে দুই লাখ ৪০ হাজার স্থানীয় নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত
হয়েছে। এ ছাড়া তিন হাজার ৫০০ ন্যাটো সেনা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে আড়াই
হাজারের মতো ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য। তাই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ
নিয়ে তালেবানকে এখন গভীরভাবে ভাবতে হবে। নিজ দেশের জনগণ ও প্রতিবেশীদের
সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। পশতুনরা অর্থাৎ
পশতুভাষীরা হচ্ছে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় একটি জনগোষ্ঠী। সাবেক
তালেবানপ্রধান মোল্লা ওমর থেকে তরুণ তালেবান নেতা ইব্রাহিমসহ অনেকেই
নেতৃত্ব দিয়েছেন এই দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামে। এতে তাঁরা একটি আদর্শ সামনে রেখে
সংগ্রাম করেছেন। বারবার আক্রমণের মুখে তাঁদের পশ্চাদপসরণ করতে হয়েছে;
কিন্তু তাঁরা পরাজিত হননি। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাননি লড়াকু আফগানিস্তানের
সংগ্রামী ইতিহাস থেকে।
বর্তমানের পরিবর্তিত অবস্থায় তালেবানকে খাপ খাইয়ে
নিতে হবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও অর্থনৈতিক মুক্তির কারণে। তাদের এ
সংগ্রামে তারা সহযোদ্ধা এবং বন্ধু হিসেবে পেয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মতো
একজন অভিজ্ঞ ও কৌশলী নেতাকে। তাদের পাশে রয়েছে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র
পাকিস্তান ও ইরান। চীন উন্নয়নের পথে তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে
জানিয়েছে। মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রত্য ও পরো সংগ্রামে তালেবান বিজয়ী
হয়েছে। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে তালেবানের প্রভূত বিজয় সাধিত হয়েছে।
এখন প্রয়োজন তাদের নিজস্ব ভাবধারায় একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও উন্নত রাষ্ট্র
গড়ে তোলা, যেখানে সাধারণ মানুষ পাবে তাদের ন্যায়সংগত অধিকার ও অর্থনৈতিক
মুক্তি।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক
ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে
নিযুক্ত সাবেক মিনিস্টার
[email protected]