ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান চেয়ে রিট
Published : Sunday, 1 August, 2021 at 12:00 AM
সরকার নির্ধারিত করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশনের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের জন্য অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, রাশিদা চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এবং ব্যারিস্টার মো. মোজাম্মেল হক এই রিট দায়ের করেন।
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআর এর পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল একক বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
রিটে বলা হয়, রিট আবেদনকারীদের একজন রাশিদা চৌধুরী নিজে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী। দীর্ঘদিন যাবৎ করোনার টিকা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ সিরিয়ালের জন্য টিকা নিতে পারছেন না। তিনি তার অনাগত সন্তান এবং নিজেকে নিয়ে শঙ্কিত।
এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী- বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়। অর্থাৎ ৩৫ লাখ অন্তঃসত্ত্বা নারী আরও ৩৫ লাখ মানুষের অস্তিত্ব বহন করে। কিন্তু করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশুরা মারা যাচ্ছে। সঠিকভাবে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে অনেক হতাহত কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তঃসত্ত্বাদের ফাইজার এবং মর্ডানার উৎপাদিত কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ওইসব দেশের অন্তঃসত্ত্বা নারীরা করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গবেষণা অনুযায়ী- অন্তঃসত্ত্বা নারীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অধিক ঝুঁকির মধ্যে থাকেন এবং কোনো কারণে আক্রান্ত হলে তাদের এবং শিশুর জীবন বিপদাপন্ন হয়ে পড়ে। অথচ সরকারের নির্ধারিত করোনো ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের সুরক্ষা অ্যাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধন করার জন্য অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের চেয়েও কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।