কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন করোনায় ও চারজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
এ ছাড়া ৫৩৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে কুমারখালী আট, দৌলতপুরের ৩১, ভেড়ামারায় চার, মিরপুর ২৯, খোকসায় ১৩ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গতদিনের চেয়ে বেড়ে ৩৩.৯৫ শতাংশ হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৮ জন।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০০ বেডবিশিষ্ট করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছে ২৪৩ জন। তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৯১ জন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।
গত সাত দিনেই কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক হাজার ২১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত শুধু করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।