কুমিল্লার চান্দিনায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে আবুল বাশার নামে এক মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (২ আগস্ট) গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা পদুয়ার বাজার এলাকার হোটেল নূরজাহানের সামনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তি আবুল বাশার চান্দিনার শব্দলপুর গ্রামের মুন্সীবাড়ির মৃত মোতালেব মুন্সীর ছেলে। তিনি তীরচর নয়াবাড়ি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
র‌্যাব জানিয়েছে, ইমাম আবুল বাশার (গত ২২ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত চৌদ্দ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষন করে। পরে মাদ্রাসাছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৪ জুলাই ছাত্রীটিকে রেখে সে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা র করার পর থেকেই ধর্ষক আবুল বাশার (৫০) পলাতক ছিল।
র‌্যাব-১১ কুমিল্লা উপ পরিচালক ও কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, বিষয়টি র‌্যাবের এর নজরে আসলে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা উক্ত ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের জন্য তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল ০২আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ গভীর রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার নূরজাহান হোটেল এর সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানেধর্ষক আবুল বাশার (৫০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামী’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে,সে স্থানীয় একটি মসজিদে (তীরচর নয়াবাড়ি মসজিদ) ইমামের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্বে থাকার কারণে বর্ণিত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার তাদের মেয়েকে আরবি পড়ানোর জন্য তাকেনিযুক্ত করে। উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রীকে আরবি পড়ানোর সুবাধে তাদের বাড়িতেধর্ষক আবুল বাশার (৫০)এর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ধর্ষক আবুল বাশার (৫০)উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রীকে আরবি পড়ানোর সুযোগ নিয়ে তাকেফুসলিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করার বিষয়টি স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কুমিল্লা জেলার চান্দিনাথানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। ধর্ষনের মতো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।