ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা
Published : Wednesday, 4 August, 2021 at 12:00 AM
জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ করোনার টিকা দেশে পৌঁছেছে।  মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, শনিবার (৩১ জুলাই) ও মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ১৩ লাখ ডোজ টিকা আসছে।
এর আগে জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, সোমবার জাপানের স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টায় নারিতা বিমানবন্দর থেকে তৃতীয় দফায় ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা নিয়ে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের (এএনএ) একটি কার্গো ফ্লাইট ছেড়ে আসে। এরপর হংকং হয়ে “ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের কার্গো ফ্লাইটে মঙ্গলবার দেশে পৌঁছাবে তৃতীয় চালানের টিকা।”
সে অনুযায়ী, ৩১ জুলাইতে টিকা আসার পর আজ মঙ্গলবারও এ টিকা দেশে এলো। ৩০ জুলাই কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপান থেকে এ টিকা আসবে বলে জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেছিলেন, ‘১৩ লাখ ডোজের ভ্যাকসিন দুইবারে অর্থাৎ শনিবার এবং বুধবারে ভাগ হয়ে আসছে।’
এর আগে গত ২৪ জুলাই কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপান সরকারের উপহার দেওয়া দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দেশে পৌঁছায়। সে সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে আরও প্রায় ২৮ লাখ টিকা জাপান থেকে বাংলাদেশে আসবে।
উল্লেখ্য, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাপানের উপহার পাবে এমন দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। তালিকা অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২৯ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এরই প্রথম চালান এলো শুক্রবার।’
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। শুরুতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হলেও ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরে টিকার সংকট শুরু হয় দেশে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, এ টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩০ জনের মধ্যে সাড়ে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে তৈরি হয় সংকট। তবে এবারে জাপান সরকারের উপহার দেওয়া এ টিকার মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকাদের সংশয় কেটে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
‘কোভ্যাক্স’র পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন এবং দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগে জানিয়েছেন, টিকা পেতে গত জুনে কোভ্যাক্সকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। সে হিসেবে আমাদের পর্যায়ক্রমে প্রায় সাত কোটি টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। চিঠি পেয়েছি, তারা আমাদের ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দেবে।