জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরিভিত্তিতে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। গত ২৮ জুলাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (৪ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব এবং সচিবদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই উদ্যোগ নিলো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাফিসা আরেফীনের সই চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে উল্লিখিত বিধিগুলো কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে চিঠিতে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর আওতাভুক্তদেরকে তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দফতর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, ওই সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি গ্রহণের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ -এর ১১, ১২ এবং ১৩ বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
চিঠির সঙ্গে সরকারি কর্মচারীর জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট/সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি পাঁচ বছর পরপর সকল সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নিয়ম থাকলেও সেটি মানছেন না অনেকে। এ প্রেক্ষাপটে বিধিমালা কার্যকরের মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দেওয়াসহ নিয়ম মানতে এই চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই চিঠির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই উদ্যোগ নিলো।