আফগানিস্তানে তালেবানের অগ্রযাত্রা এবং বেসামরিক লোকদের ওপর হামলার ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি গত ২৮ জুলাই বলেন, এভাবে লোকদের ওপর নির্যাতন চালানো হলে দেশটি একটি ‘অগ্রহণযোগ্য’ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মানবাধিকারের দৃষ্টিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি যেভাবে বিকশিত হচ্ছে তা সত্যিই ভয়াবহ।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে শরিয়া শাসন চালু হয়েছে। সেখানে তারা নারীদের শিক্ষা, পোশাক, চলাচল ও চাকরির বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
আমেরিকা আগে থেকেই জানত তারা দেশটি ছেড়ে এলে তালেবান গোষ্ঠী আবারও আফগানিস্তানে জেঁকে বসবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর দু’টি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা ও বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি তালেবানের বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফলে সংগঠনটি আফগানিস্তানে আরও মৌলবাদী শাসন চালু করতে পারে। ইতোমধ্যে তারা দেশটিতে শরিয়া শাসন চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে।
তালেবান ভালো করে জানে ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র সিঁড়ি হচ্ছে সহিংসতা এবং বন্দুকের নল। দেশটির কান্দাহার প্রদেশের জেলা নিয়ন্ত্রণের পরে তালেবান সেখানকার শত শত বাসিন্দাকে আটক করে। পাশাপাশি প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন বন্দিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাও করেছে।
ওই প্রকাশনায় আরও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি যেভাবে বিকশিত হচ্ছে তাতে আগামীতে আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবানদের মধ্যে আরও ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। তালেবান প্রতিশোধ নিতে হয়ত ভবিষ্যতে আফগান সরকারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালাবে। তাই এখনই তাদের অগ্রযাত্রা থামাতে আন্তর্জাতিক মহলকে পদক্ষেপ নিতে হবে।