২১ আগস্ট নিহতদের স্মরণে দেবিদ্বারে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান
শাহীন আলম
Published : Saturday, 21 August, 2021 at 7:55 PM
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ ও তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনায়
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার
দুপুর ২টায় বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণী কক্ষে নিউইয়ার্কের
শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকারের উদ্যােগে আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন
কবির।
বীর মুক্তিযুদ্ধা মো.মুজিবুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য লুৎফুর রহমান বাবুল, পৌর
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলেহ উদ্দির ভূঁইয়া মানিক,
দেবিদ্বার প্রেসসক্লাবের উপদেষ্টা সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাসার,
গুনাইঘর উত্তর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মোকবল হোসেন মুকুল, শেখ রাসেল
জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মুন্সি।
পাশে আছি কোভিট -১৯ সেবার কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ শাহীনূর লিপির পরিচালনায়
আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা,
আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত পোদ্দার প্রমুখ।
২১ আগস্ট ভয়াল সেই দিনের কথা স্মরণ করে বক্তারা বলেন, সমাবেশে শেখ হাসিনা
আসেন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে। নেতা-কর্মীরা তখন অধীর আগ্রহে নেত্রীর বক্তৃতা
শোনার অপেক্ষায় ছিলেন। যে ট্রাকে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, তার পেছনে
বাঁ দিকে একটি সিঁড়ি ছিল উপরে ওঠার জন্য। ট্রাকের শেষ মাথায় ডানদিকে রাখা
টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় সভাপতি
শেখ হাসিনা বক্তৃতা শুরু করেন বিকাল ৫টা ২ মিনিটে। তাঁর দুই পাশে ছিলেন
মোহাম্মদ হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন
কেন্দ্রীয় নেতা। পুরোটা সময় ওই টেবিলের পাশে বসেছিলেন শেখ হাসিনার
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল
মামুন। মঞ্চ থেকে নামার সিঁড়ির কয়েক গজের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল আওয়ামী
লীগ সভাপতির বুলেট প্রæফ মার্সিডিজ গাড়ি। সেখানে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর
জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক
উপদেষ্টা। ৫টা ২২ মিনিটে বক্তব্য শেষ করে শেখ হাসিনা ‘জয় বাংলা, জয়
বঙ্গবন্ধু’ বলে মাইক থেকে সরে যাওয়ার মুহূর্তেই প্রথম গ্রেনেডটি ছোড়া হয়।
ট্রাকের বাঁ পাশে পড়ে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকে থাকা
জ্যেষ্ঠ নেতা এবং নিরাপত্তাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে ট্রাকের ওপর বসিয়ে দেন। এর
পরপরই আরও তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। চারদিকে ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে যায়।
সেদিনের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর
সঙ্গে লড়াই করে ২৪ অগাস্ট মারা যান। প্রায় দেড় বছর পর মুত্যু হয় ঢাকার
প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের। পরে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা
দাঁড়ায় ২৪ জনে। ওই দিন যারা এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। পরে নিহতদের রুহের মাগফেরাত
কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।