Published : Monday, 23 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.08.2021 1:10:51 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ।।
বৈদ্যুতিক বাতি চুরির মিথ্যা অপবাদে হামলায় গুরতর আহত রিকশা চালক ইবরাহিম খলিল (৩৫) ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার ৩দিন অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রোববার সাড়ে ৭টা) পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামঘর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ইবরাহিম খলিল প্রতিদিনের মতো গত ১১ আগষ্ট বুধবার রাত আনুমানিক ১০টায় রিকশা চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিজ এলাকার কাউছার মিয়ার মুদি দোকনে যায়। সেখানে থাকা একটি বৈদ্যুতিক বাতি তার মাথায় লেগে দুলতে থাকে। এ সময় সে হাত দিয়ে বাতিটিকে থামানোর চেষ্টা করলে চোর সন্দেহে পাশের শাহ আলমের মুদি দোকানে থাকা মেহেদী হাসান ওরফে মালু মিয়াসহ কয়েকজন যুবক তাকে বেধরক মারধর করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ঘটনার পরদিন গ্রাম্য শালিসে স্থানীয় মাতব্বরদের চাপে ইবরাহিম খলিলকে চিকিৎসা শেষ না করেই তার বাড়ী নিয়ে যায়। শালিসে ইবরাহিম খলিলকে দোষারোপ করে উল্টো ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন গ্রাম্য মাতব্বর চিনু মিয়া, ইউনুছ সরকার, কাদের মিয়া, আব্দুল আওয়াল, নায়েব আলী ও জহির মিয়া। জরিমানার দুই হাজার টাকা পরিশোধ করে বাড়ি ফেরার ৫ দিন পর পূনরায় ইবরাহিম খলিল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পূনরায় মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাশ^বর্তী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ আগষ্ট শুক্রবার সকালে ইবরাহিম খলিল মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।