জিম্বাবুয়ে ও
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পুরো দল নিয়ে নামতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েতে
টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ মুশফিক-তামিমকে ছাড়াই খেলতে
হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপে পায়নি তামিম-মুশফিক-লিটনকে। দুটি সিরিজে দলের
তরুণ ক্রিকেটাররা দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন। তাতে অবশ্য ভালো কিছুই পেয়েছে।
সিনিয়র ও জুনিয়রদের সমন্বয় ঘটেছে দারুণভাবে। আর এই মিশ্রণে মুগ্ধ
বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
আজ (শনিবার) ভার্চুয়াল সংবাদ
সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলের যে জিনিসটা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ
করে তা হলো অভিজ্ঞতা ও তরুণ ক্রিকেটারদের মিশ্রণ। শুধু ব্যাটিং বিভাগে না,
বোলিংয়েও। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বেশ কয়েকজন তরুণ এসেছে, যারা দলে
নিজেদের প্রয়োজনীয়তা মেলে ধরেছে। তাছাড়া বড় টুর্নামেন্টে সফল হওয়ার
অভিজ্ঞতাটাও তারা নিয়ে এসেছে। তো তিন বিভাগেই অভিজ্ঞতা, প্রয়োজনীয়তা এবং
গুণের দিক থেকে দারুণ মিশ্রণ আছে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপে অভিজ্ঞ দুই
ক্রিকেটার মুশফিক ও লিটনের ফেরাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন প্রিন্স,
‘লিটন ও মুশফিকের ফিরে আসাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। দলে অভিজ্ঞ ও তরুণদের
দারুণ মিশ্রণ আছে। মুশফিক ও লিটন দাসের এই অভিজ্ঞতা তরুণদের জন্য কিছু
শেখার ব্যাপারে ভালো কাজে দেবে।’
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে ব্যাটিং
মোটামুটি হলেও ঘরের মাঠে নিজেদের চেনা কন্ডিশনে ব্যাটিং ভালো করতে পারেননি
সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। ব্যাটিং কোচ মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে উইকেট
কঠিন ছিল বলেই পারেননি ব্যাটসম্যানরা, ‘জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের
মধ্যে সবচেয়ে বড় ভিন্নতা ছিল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে। ব্যাটিংয়ে কন্ডিশনের
সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। জিম্বাবুয়েতে আমরা একটু
বাউন্সি কন্ডিশনে খেলেছি, সেখানে ব্যাটসম্যানরা ভালোভাবে মানিয়ে নিতে
পেরেছে। কিন্তু বাংলাদেশে নিচু বাউন্স ছিল, এমন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটা
খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
দণি আফ্রিকান ব্যাটিং কোচ জানালেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো
নিউজিল্যান্ডের বিপওে একই ধরনের উইকেট হতে যাচ্ছে, ‘আমার মনে হয়,
নিউজিল্যান্ডে সিরিজে আমরা একই রকম কন্ডিশন পেতে যাচ্ছি। এখানে অস্ট্রেলিয়া
সিরিজ থেকে আমরা কী শিখেছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা খুব ভালো আলোচনা
করেছি। যারা অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলেছে তারা লিটন-মুশফিকদের জানিয়েছে, পিচ
কী আচরণ করতে পারে। ওরা এমন কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত আছে।’