Published : Monday, 30 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 30.08.2021 1:19:13 AM
মাসুদ আলম: গ্রাহকের
১১ শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক,
সিওও এবং উপদেষ্টাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা হয়েছে। রবিবার
(২৯ আগস্ট) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো. সাইফুল
খাঁন (৩৭) নামে এক ভোক্তভোগি কুমিল্লার ৩৯ জন গ্রাহকের পক্ষে মামলাটি দায়ের
করেন। মামলা আমলে নিয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
মাসুদুর রহমান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য
দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এডভোকেট এ এফ মজুমদার নোমান।
তিনি
জানান, প্রতারণার মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে আগামী ১১ নভেম্বরের
মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
ই-অরেঞ্জের হাতে কুমিল্লার ৩৯ জন ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাদের
প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করে ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।
মামলায়
প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহাজাবিন, উপদেষ্টা মাসুকুর রহমান, সিওও
আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার, কাওসারকে আসামি করা হয়। এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও
ই-অরেঞ্জের অন্য মালিকদেরও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
বাদির অভিযোগ
সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য
ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রহকরা। গত ১৫ মে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পরও
তারা গ্রাহকদের কোন পণ্য সরবরাহ করেনি। এর পর থেকে ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে
বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে আস্বস্ত করে আসছে, মূলত প্রতারণা করে
টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনায়। ওই প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে
চাইলে তারা এগুলো কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ করবে বলে জানায়। কিন্তু তারা পণ্য
সরবরাহ না করে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১ শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এই
টাকার মধ্যে কুমিল্লার ৩৯ জন গ্রাহকের প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করে
ই-অরেঞ্জ।
মামলার বাদি সাইফুল খাঁন, গ্রাহক মনজুর আহমেদ ও শরীফুল আলম
জানান, ই-অরেঞ্জের সঙ্গে ই-কমার্স ব্যবসা করতে গিয়ে ৩৯জন গ্রাহকের অনেকে
পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি/বন্ধক এবং ধার-দেনা করে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় টাকা হরানোর ভয়ে কুমিল্লা ৩৯জনসহ সারাদেশের গ্রাহকরা
মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। দ্রুত বিনিয়োগকৃত টাকা বা পন্য ফিরিয়ে দিয়ে
তাদের দাবি।