দেশের একমাত্র নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা।
ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে এএফসি এলিট প্যানেলের রেফারি হতে গত আগস্টে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সেই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন। ফলে ফিফার রেফারি হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় তার।
অবশ্য এতে দমে যাননি বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের এই সাবেক ফুটবলার। এবার ফিফা রেফারি পরীক্ষা দিতে দেশে এসেছেন জয়া।
শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা রেফারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে পুরুষ ফিফা রেফারি ও সহকারী রেফারির পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে।
১১ জন রেফারি ও ১৩ জন সহকারী রেফারি সব মিলিয়ে ২৪ জনের মতো প্রতিযোগী এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এদের মধ্যে জয়া চাকমাই একমাত্র নারী প্রতিযোগী।
জয়া যদি আজকেও অকৃতকার্য হন তাতে হতাশার কিছু নেই। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আরেকবার পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাফুফেকে ফিফার কাছে নাম পাঠাতে হবে। সেই নামের তালিকায় থাকা চাই জয়ার এমন প্রত্যয়েই বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তিনি এতোদিন ভারতেই ছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে অবস্থান করছিলেন।
ভারতে জয়ার অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ফিফা রেফারিতে উত্তীর্ণ হতে ১০ চক্কর সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
নারী রেফারিদের ফিটনেস পরীক্ষা হয় দুই পর্বের। প্রথম পর্বে ৪০ মিটার স্প্রিন্ট ছয়বার। এই পর্বে জয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্প্রিন্ট শেষ করেন। আট মিনিটের মধ্যে শুরু হয় ল্যাপ (চক্কর)। ফিফা রেফারিতে উত্তীর্ণ হতে ১০ চক্কর বাধ্যতামূলক। আর এএফসি এলিটে যেতে হলে দশের বেশি। জয়া ন্যূনতম ১০ চক্কর শেষ করতে পারেননি।
আজ জয়ার সামনে ১০ চক্কর সম্পন্ন করা চ্যালেঞ্জের মতোই হবে।