আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে দেশটি। মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস আফগানদের ত্রাণ সহায়তার জন্য বিশ্ব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে জেনেভা সম্মেলনে যাচ্ছেন। তবে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের মুখে আফগানদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে রাজি থাকলেও তালেবানকে অর্থ দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে চাইছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে দেশটির নতুন তালেবান সরকারকে সরাসরি অর্থায়নের কোনও সুযোগ রাখা হচ্ছে না। যদিও বিশ্ব নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বৈঠকে বসার বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে সহায়তা করার জন্য।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে তালেবান সরকারকে উৎখাত করার পর প্রচুর অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সরকার পরিচালনা ও উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তার জন্য ১৩ হাজার কোটি ডলার দেওয়া হয়।
মার্কিন কংগ্রেসের সহযোগীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের জন্য আইনপ্রণেতারা সহায়তা দিতে রাজি হলেও নতুন আফগান সরকারকে এখন কোনো সহায়তা দেবে না তারা।
জাতিসংঘ সম্প্রতি শঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছেন ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এবং আরও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন ১ কোটি ৮০ লাখ। তালেবানের ভয়ে দেশ ছেড়েছেন অন্তত পাঁচ লাখ আফগান।
তালেবানের নতুন সরকারের ঘোষণা আসতে পারে শিগগির। এদিকে, এখনও তালেবানের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ চলছে পঞ্জশির উপত্যকা। যদিও তালেবান দাবি করছে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে।