চলতি মৌসুমের দলবদলে সবচেয়ে বড় চমক হয়ে এসেছে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান। প্রায় ১২ বছর পর নিজের পুরোনো দলে ফিরেছেন রোনালদো। পুনরায় ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরতে দেখে উচ্ছ্বসিত রেড ডেভিল সমর্থকরা। যার প্রমাণ মিলছে রোনালদোর জার্সি বিক্রিতে।
রোনালদোর সাত নম্বর জার্সিটি বাজারে আসার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙে দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের জার্সি বিক্রির পুরোনো রেকর্ড। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৩২.৫ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮৩ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে রোনালদোর জার্সি। অবশ্য এর পরও রোনালদোকে কেনার ১২.৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড (১৫১ কোটি টাকা) খরচের পুরোটা তুলতে পারবে না ইউনাইটেড।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ফক্সস্পোর্টসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোনালদোর ৭ নম্বর জার্সিটি বাজারে ছাড়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৩২.৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি হয়েছে। লাভ দ্য সেলস ডট কমের বরাত দিয়ে এ খবর ছেপেছে ফক্স স্পোর্টস। অন্তত ১ হাজারের বেশি অনলাইন জার্সি বিক্রেতার তথ্য নিজেদের কাছে রাখে লাভ দ্য সেলস।
রোনালদোর জার্সির বাজারমূল্য রাখা হয়েছে ৮০ থেকে ১১০ পাউন্ড (৯৪০০ থেকে ১২৯০০ টাকা)। এ জার্সি বাজারে ছাড়ার পর থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ন্যুনতম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫শ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৬ হাজার ২শ ৫০ পিস বিক্রি হয়েছে। যা কি না এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের যেকোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ বিক্রিত জার্সি হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।
গ্রাহকদের এ বিপুল চাহিদার জোগান দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ইউনাইটেডের জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এডিডাস। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে ১ অক্টোবরের আগে কোনো জার্সি ডেলিভারি করা হবে না। এছাড়া অন্যান্য তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতারাও জার্সি সংকটে ভুগছেন।
তবে এই বিপুল অঙ্কের জার্সি বিক্রি হলেও এর থেকে খুব কম অংশটাই পাবে ইউনাইটেড। কেননা ২০১৪ সালে এডিডাসের সঙ্গে ৭৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি করেছে ক্লাবটি। যা কি না ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি কিট স্পন্সরের রেকর্ড। এই চুক্তির শর্ত মোতাবেক, জার্সি বিক্রির অর্থ থেকে একটা অংশ পাওয়ার কথা ইউনাইটেডের।
এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি জার্সিতে সর্বোচ্চ ৬.২৫ শতাংশ থেকে ৪.৫০ শতাংশ অর্থ পেতে পারে ইউনাইটেড। যদি ১২ ঘণ্টায় ৩২.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের জার্সি বিক্রি হয়ে থাকে এবং প্রতি জার্সি দাম গড়ে ৯০ পাউন্ড ধরা হয়, তাহলে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার পিসের কাছাকাছি জার্সি বিক্রি হয়েছে।
প্রতিটি জার্সি থেকে ইউনাইটেড ৫ পাউন্ড করে পেয়ে থাকে তাহলে তাদের আয় হবে ১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় ২১ কোটি টাকা। যার মানে দাঁড়ায় রোনালদোকে পেতে খরচ করা ১৫১ কোটি টাকার বেশিরভাগই তুলতে পারবে না ইউনাইটেড।