অক্টোবরের আগে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহে ভিসিদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে আমরা একটি সভা করেছিলাম গত মাসের শেষে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল—বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়ে দিতে পেরেছি। যারা অনাবাসিক তাদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যাদের এনআইডি আছে তাদের সমস্যা নেই। যাদের এনআইডি নেই তাদেরকেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, অন্তত পক্ষে সকল শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। সেটির আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল। এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানে অবস্থা আবার পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে, তাই এই সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করবো।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা না পাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া যখন শুরু হয়েছে, তার মধ্যে যাদের এনআইডি আছে তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। তারা পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি সাত কলেজের সেটি দেখা হয়নি। কাজেই যে কোন শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের ওপরে হয় তার এনআইডি থাকলে এখনি সে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। এখনি তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারবেন। যার এনআইডি নেই তার জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’