ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘বিএনপির আমলে ১৮ জন কৃষক সারের জন্য জীবন দিতে হয়েছে’--ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি
Published : Monday, 6 September, 2021 at 12:00 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ।।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি বলেছেন, ‘বিএনপির সময়ে যেখানে সারের জন্য ১৮ জন কৃষক জীবন দিতে হয়েছে, সেখানে আওয়ামীলীগ সরকার বিনামূল্যে সার বীজসহ নানান সব প্রনোদনা নিয়ে কৃষান-কৃষানীর ঘরে পৌঁেছ দিচ্ছেন। যেখানে কৃষকরা কৃষি কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নানান সুফলের কারণে অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোকও উদ্যোক্তা হয়ে এ পেশায় সফল হচ্ছেন। দেশ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় এক জমিতে ৩/৪ ফসলও চাষ হচ্ছে। ফলে কম জমি থাকা একজন কৃষকও বছর শেষে ভাল মুনাফা অর্জণ করছেন।’  
তিনি আরো বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, তাই কৃষককে মূল্যায়ন করতে হবে। কারন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, সোনার বাংলা বিনির্মানে কৃষি-ই হবে একমাত্র অন্যতম মাধ্যম। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর ধারণাই পূর্নাঙ্গ রূপ নিয়েছে। তাঁর সুযোগ্য তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব নানা প্রদক্ষেপের কারণে বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছেন। কৃষক নিজেরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বিদেশে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী রফতানী করছে।’
আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি রোববার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে উপজেলার কৃষাণ-কৃষাণীদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ারা বেগম লুনা, থানার ওসি সাদেকুর রহমান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, ভূবনঘর গ্রামের সামছুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী ইসমাইল।
 উল্লেখ্য, গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতায় মুরাদনগরে কৃষি অফিস ও কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে এক কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ভবনটি নির্মাণ করেন মেসার্স এস এস ইন্টারন্যাশনালের ঠিকাদার শামীম সরকার।