গ্রেফতার তিন আসামির স্বীকারোক্তি
Published : Wednesday, 8 September, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামে শ্বশুর-শাশুড়ির
হাত-পা বেঁধে কম্বল চেপে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গৃহবধূ নাজমুন নাহার
চৌধুরী, তার খালাতো ভাই জহিরুল এবং তাদের সহযোগী মেহেদী আদালতে
স্বীকাররোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২০
মিনিটে কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুসরাত জাহান
ঊর্মির আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা এই
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। পরে আদালতের বিচারক তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয়
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহতরা হলেন, সুবর্ণপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সফুরা খাতুন।
রাত
সাড়ে আটটার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রাজীব চক্রবর্তী
আদালত চত্বর থেকে বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে আদালতে জবানবন্দি নেওয়া শুরু
হয়। প্রথমে জবানবন্দি দেন নাজমুন নাহার চৌধুরী। এরপর নাজমুনের খালাতো ভাই
মো. জহিরুল ইসলাম মজুমদার জবানবন্দি দেন। সর্বশেষ জবানবন্দি দেন জহিরুলের
বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সহযোগী মো. মেহেদী হাসান। রাত ৮টা ২০ মিনিটে
ওই জবানবন্দি শেষ হয়। টানা ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ওই জবানবন্দিতে আসামিরা পুরো
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। এতে তাঁরা সব অপরাধ স্বীকার করেন।
এর
আগে আজ দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন
কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার (প্রশাসন) কাজী মো. আবদুর রহীম আসামিদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ থেকে
পাওয়া তথ্যের বরাতে হত্যার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, নিহত সৈয়দ বিল্লাল
হোসেনের বড় ছেলে দুবাইপ্রবাসী সৈয়দ আমান উল্লাহের স্ত্রী নাজমুন নাহার
চৌধুরী শিউলি একাধিক পরকীয়া প্রেম করতেন। এসব বিষয় ও পারিবারিক কলহের জের
ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে
জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করেছে।