চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনার ও ডাকাতিয়ার পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এ জেলার চাঁদপুর সদর,হাইমচর,মতলবেরচরাঞ্চলসহ নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা এবং বহু ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামের রাস্তাঘাট,ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তবে জোয়ারে পানি বাড়লেও ভাটার সময় সেই পানি আবার নেমেও যাচ্ছে।
মেঘনা নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চাঁদপুর হরিনা ও শরিয়তপুর আলুবাজার ফেরিঘাটের র্যাম ও রাস্তা ডুবে গেছে। এতে ওই ঘাট দুটি দিয়ে যানবাহন ফেরিতে উঠা নামায় বিঘ্ন সৃস্টি হচ্ছে । এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা।
সরজমিনে মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন পরিস্হিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তাছাড়া হরিনাঘাটে দেখা যায়, হাঁটু পরিমান পানি মারিয়ে দূর্ভোগের মধ্যে গাড়িগুলোকে ফেরিতে উঠানামা করতে হচ্ছে ঝুকির মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে যানবাহন বিকল হয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বিআইডব্লিটিএ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখা দরকার বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে। জোয়ারের সময় প্রায় কয়েকঘন্টা ফেরিঘাট সংযুক্ত পন্টুন র্যামের রাস্তা জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে।
অপরদিকে, বিআইডব্লিটিটিসি চাঁদপুর হরিণাঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুন নূর তুষার জানান, জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেলে কিছু সময়ের জন্য সমস্যা দেখা দেয় প্রতিনিয়ত। তবে সবসময় জন্য নয়। তিনি বলেন, এখনো ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি রয়েছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে তাদের সাতটি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড,চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসেন জানান,মঙ্গলবার সন্ধ্যার জোয়ারে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৪.৫২ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর ভাটায় সর্বনিম্ন ছিল ৩.৩১ সে.মি । এতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরেছে। রাজরাজেশ্বর নয়, ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন, হানারচর ইউনিয়ন, হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্মাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।