ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মাস্ক-স্যানিটাইজারের সাথে ছিলো ফুল-চকলেট ও ঢাকঢোল
Published : Monday, 13 September, 2021 at 12:00 AM, Update: 13.09.2021 1:57:08 AM
মাস্ক-স্যানিটাইজারের সাথে ছিলো ফুল-চকলেট ও ঢাকঢোল তানভীর দিপু:
দীর্ঘ বিরতির পর খুলেছে স্কুল। প্রিয় প্রাঙ্গণে আবারো শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিলন মেলা। ১২ আগষ্ট রবিবার ভোর বেলা থেকে স্কুলে এসেই তাই শিক্ষার্থীরা পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। শিক্ষকরাই ফুল ছিটিয়ে চকলেট বিতরণ করে বরণ করে নেন শিক্ষার্থীদের। ঢাক ঢোল বাদ্য বাজিয়ে স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও অভ্যর্থনা জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
গতকাল ভোর বেলা কুমিল্লা জিলা স্কুলে গিয়ে দেখা যায় মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য হাতে ফুলের ডালা নিয়ে অপেক্ষা করছেন শিক্ষকরা। স্কুলের প্রধান ফটক দিয়ে যারাই প্রবেশ করছেন তাদের হ্যান্ডসেনিটাইজার ও মাস্ক দেয়ার পর ফুলেল অভ্যর্থনাও জানানো হয়। কুমিল্লা ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা অপেক্ষা করছেন ছাত্রীদের জন্য। তাপমাত্রা পরিমাপ ও জীবানুনাশক দেয়ার পর তাদেরকে কুশলাদি জিজ্ঞের করছেন শিক্ষকরা।
এছাড়া কুমিল্লা মডার্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় চকলেট। মনোহরপুর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ফুল দিয়ে ক্লাসে আমন্ত্রণ জানান শিক্ষকরা। শুধু স্কুলেই নয় কলেজেও ছিলো শিক্ষার্থীদের বরণ করার নানান আয়োজন।
সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষকরা। কুমিল্লা মহিলা সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হাতে শুভেচ্ছা সরূপ তুলে দেয়া হয় চকলেট।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাবেদ জানান, এরকম অভ্যর্থনা পেয়ে আমরা খুবই খুশি। অনেকদিন পর বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের সাথে দেখা হলো। অনলাইনে ক্লাস করে তৃপ্তি মেটেনি। ক্লাশে এসে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার জানান, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আবার আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। যতদিন স্কুল খোলা থাকবে তাদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে।
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসি মজুমদার জানান, স্কুলে আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। আমরা প্রত্যাশা করি সহসাই করোনামুক্ত হয়ে আবারো স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবো।