ইউএস ওপেনের ফাইনালে সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতেছেন দানিল মেদভেদেভ। রোববার রাতের ফাইনালে ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে সরাসরি সেটে ম্যাচটি জিতেছেন ২৫ বছর বয়সী রাশিয়ান তারকা।
অথচ এ ফাইনাল জিততে পারলে ইতিহাসের অংশ হয়ে যেতেন জকোভিচ, পেতেন একই বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড। কিন্তু হেরে যাওয়ায় হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। তার আগে অবশ্য ম্যাচ চলাকালীনই কোর্টের মধ্যে নিজের র্যাকেটে ভেঙেছেন এ সার্বিয়ান তারকা। যে কারণে রেফারির কাছ থেকে শুনতে হয়েছে সতর্কবার্তা।
ম্যাচের প্রথম সেট থেকেই জকোভিচকে খুব একটা সুযোগ দিচ্ছিলেন না মেদভেদেভ। প্রথম সেটটি ৬-৪ গেমে জেতার পর দ্বিতীয় সেটেও ২-১ গেমে লিড নেন তিনি। এরপরই একটি সার্ভিস ব্রেক করার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার হতাশায় কোর্টের মধ্যেই আছাড় মেরে নিজের র্যাকেট ভেঙে ফেলেন জকোভিচ।
দ্বিতীয় সেটের প্রথম গেমে মেদভেদেভের তিনটি ব্রেক পয়েন্ট কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন জকোভিচ। পরে দ্বিতীয় গেমেও ব্রেকপয়েন্ট কাজে লাগানোর সুযোগ আসে তার সামনে। কিন্তু এবারও পারেননি তিনি। তখনই একবার হতাশায় রাগের অভিব্যক্ত দেখা যায় জকোভিচের মধ্যে। একজন বল গার্ল ছুটে না এলে হয়তো, তখনই ব্যাট দিয়ে বলটি পাঠিয়ে দিতে স্টেডিয়ামের বাইরে।
সে দফায় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করলেও, সেই সেটের চতুর্থ গেমে আর পারেননি জকোভিচ। সার্ভিস ব্রেক করার সুযোগ হারিয়ে কোর্টের মধ্যেই তিনবার আছাড় মারেন নিজের হাতে থাকা র্যাকেট। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেই র্যাকেট খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। আর খেলার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় রেফারিও তাকে সতর্ক করে দেন।
টেনিস কোর্টে জকোভিচের রাগে ফেটে পড়ার নজির এটিই প্রথম নয়। গত বছরের ইউএস ওপেনে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে হতাশা থেকে একটি বল ব্যাট দিয়ে ছুড়ে মারেন। যা গিয়ে আঘাত করে লাইনপার্সনের গলায়। এই ঘটনায় টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কার করে দেয়া হয় জকোভিচকে।
উল্লেখ্য, রোববারের ফাইনাল ম্যাচটি জিততে পারলে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে ছাড়িয়ে ২১টি গ্র্যান্ড স্লাম হয়ে যেতো জকোভিচের। এখন এই রেকর্ডের জন্য নতুন বছরের অপেক্ষায় থাকতে হবে ৩৪ বছর বয়সী এ তারকা খেলোয়াড়কে।