কাসেম সোলেইমানি, তিনি ছিলেন ইরানের বিশেষ বাহিনী রেভ্যুলশনারি গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান। গত বছরের জানুয়ারিতে ইরাকের বাগদাদে তাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে আমেরিকা।
জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ছিলেন ইরানের আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর। তিনি ছিলেন ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর সবচেয়ে প্রভাবশালী কমান্ডার। সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, যাকে নিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতো ইসরায়েল।
এবার নতুন সোলেইমানি আতঙ্কে ভুগছে ইসরায়েল। বিগত কিছু সপ্তাহ ধরে ইরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখে মুখে ইরানের একজন ব্যক্তির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি হলেন ইরানের বর্তমান জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ।
দ্য ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)এর বিমান বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ এর ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড এবং ইরানের ড্রোন শক্তি বৃদ্ধিতে ইসরায়েল ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের বেশ কিছু ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় তাকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছে ইহুদিবাদী দেশটি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেন, এ অঞ্চলে ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহার করে কয়েক ডজন সন্ত্রাসী হামলার পেছনে আইআরজিসির এয়ারফোর্সের কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহের হাত রয়েছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তা, বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আমির আলি হাজিজাদেহ ‘নতুন কাসেম সোলেইমানি’।
কাসেম সোলেইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র মোসাদের সহায়তায় ২০২০ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে বাগদাদে ড্রোন হামলায় হত্যা করে। যদিও এখনও আমির আলি হাজিজাদেহ সোলেইমানির মতো উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেননি। কিন্তু দেশে ও বিদেশে তার জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ইরান এবং তার মিত্ররা ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়েছে। ইরানের এই ড্রোন হামলা ক্রমেই শত্রুপক্ষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে ফেলছে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই