ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মেট্রোরেলের দুই টন মালামাল ভাঙারি দোকানে বেচে দিলো চোর চক্র
Published : Saturday, 18 September, 2021 at 12:00 AM
মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরির পর ভাঙারি উপযোগী করে বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করতো একটি চক্র। কিছুদিন আগেও চক্রটি দুই টন মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেট্রোরেল প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরির অপরাধে চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, দুলাল হোসেন (৩৯), চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেন (২৪), হাসমত বেপারী (৩৪), রবিন (১৮) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬)।
এসময় তাদের কাছ থেকে মেট্রোরেলের কাজে ব্যবহৃত এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল ও তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্লবী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবীর সিরামিক রোড এলাকা থেকে দুলাল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেনসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের সঙ্গে আরও অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এডিসি আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেট্রোরেলের মালামাল চুরি শুরু হয়। পল্লবীর মেট্রোরেল ৮৪ নম্বর পিলার থেকে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার ২৪৭ নম্বর পিলারের এলাকায় চুরিগুলো হয়েছে।
কী পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এজাহার থেকে জানতে পেরেছি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এ প্রকল্পের মালামাল চুরি হচ্ছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি, তারা কিছুদিন আগে মেট্রোরেলের দুই টন মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে। আসামিরা মেট্রোরেল এলাকা থেকে মালামাল চুরি করে সেই মালামাল ভাঙারি হিসেবে প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে এ মালামাল বিক্রি করে। বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুটি ভাঙারির দোকান থেকে জব্দ করা মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এডিসি আরও বলেন, এ চক্রটি আগেও মেট্রোরেলের মালামাল চুরি করেছে। তাদের সঙ্গে অন্য কোনো চক্র আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও আসামিদের কাছ থেকে অন্য কোনো বড় কোম্পানি চুরি হওয়া মালামাল ক্রয় করছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহ আগেই মেট্রোরেলের মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য আলাদা ফোর্স দেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা আলাদা ফোর্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।