ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কাদা-জলে একাকার স্কুলের মাঠ
Published : Sunday, 19 September, 2021 at 12:00 AM, Update: 19.09.2021 2:02:06 AM
কাদা-জলে একাকার স্কুলের মাঠশাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
স্কুল খোলায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে শ্রেণি কক্ষে। শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ আর আনন্দে মুখরিত প্রিয় বিদ্যালয়। তবে আনন্দ নেই দেবিদ্বার উপজেলা ১৫২ নং দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্কুল খোলার পরও মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁদা জলে একাকার বিদ্যালয়ের মাঠ। টয়লেট ও নলকূপ হাটু পানিতে ডুবে আছে। শেওলাযুক্ত পানি দেখলে মনে হবে পরিত্যক্ত একটি জলাশয়। এ বিদ্যালয়ের মাঠটি পুরো বছরেই পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। খেলাধুলা, কুচকাওয়াজ জাতীয় সংগীত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।  বর্তমানে প্রায় বছরজুড়ে স্কুলের মাঠটি জলাবদ্ধ থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রমেও। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ, সাবিকুন নাহার, লাইছা, ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামি, নাফি  জানায়, দিনের পর দিন স্কুল মাঠে পানি জমে থাকে। হাটা চলা করতে যেয়ে পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। বদ্ধ পানির দুর্গন্ধে ক্লাস করা যায়না। দিনের বেলায় ক্লাসে মশা কামড়ায়। সহকারি শিক্ষক হালিমা বেগম জানান, শিক্ষার্থীরা এমনিতেই ক্লাসে আসতে চায় না, এরপর স্কুলের এ অবস্থা।  শরিরচর্যা ও  খেলাধুলা খুব সমস্যা ক্লাসেই বসে থাকতে হয়। ‘বিদ্যালয়ের মাঠটি বছরের বেশির ভাগ সময় পানিবন্দি থাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আমেনা বেগম  ও কবির হোসেন নামে দুই অভিভাবক জানান, দেড় বছর পর স্কুল খোলেছে। এরপরও এ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগের আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে বাচ্চারা স্কুলে আসতে চায় না। ছেলে মেয়েকে জোর করেও  স্কুলে পাঠানো যায়না।  প্রধান শিক্ষক মো. আলী আজ্জম বলেন,  সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় মাঠসহ শ্রেণিকক্ষ। বর্ষা মৌসুমের পানি গ্রীষ্ম মৌসুমেও শুকায় না। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.নাছির উদ্দিন জানান, চারদিকে বাড়িঘর হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মাঠে পানি জমে আছে। এ বিষয়টি ইউএনও কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত জানিয়েছি। তারপরও সমাধান হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য একটি আবেদন একটি পেয়েছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।