আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত শিশুসহ নিরীহ ১০ আফগান নাগরিকের স্বজনরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুধু ক্ষমা চাইলে হবে না, তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এর একদিন আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কাবুলে সন্দেহভাজন আইএস সদস্যের গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় শিশুসহ ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল জাজিরা।
কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের এক দিন আগে, ২৯ আগস্ট ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আইম্যাল আমাদি তার তিন বছরের কন্যা শিশুকে হারান। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এই হামলা কারা চালিয়েছে তা ওয়াশিংটনের তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। আমি পরিবারের ১০ সদস্যকে হারিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ন্যায় বিচার চাই। আমরা নিরীহ, আমাদের তো কোনো ভুল ছিল না।
নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চান। তারা হতাহতদের জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছেন এবং সম্ভব হলে তারা আফগানিস্তানও ছাড়তে চান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলার অনুসন্ধান চালায় এবং তারা জানায়, ওই হামলায় নিহতরা কেউ আইএস জঙ্গি ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ওই ত্রাণ সহায়তাকর্মীর একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে শনাক্ত করে ড্রোন হামলা চালানোর আট ঘণ্টা আগে। তারা ধারণা করেছিল, ব্যক্তিগত গাড়িটি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস–কের কোনো আত্মঘাতী হামলাকারীর। তিনি আরও বলেন, এ হামলা ছিলো সত্যিই ‘মর্মান্তিক ভুল’।