ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গেয়েও মুগ্ধ করলেন জয়া আহসান (ভিডিও)
Published : Sunday, 19 September, 2021 at 1:29 PM
গেয়েও মুগ্ধ করলেন জয়া আহসান (ভিডিও)জয়া আহসান, থেমে থেমে প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটানোই যেন তার কাজ! ঢালিউড, টলিউড হয়ে বলিউডে পৌঁছানোর গল্প তো সবারই জানা। দুই বাংলার সেরা পুরস্কারগুলোতেও রয়েছে তার নিয়মিত অংশগ্রহণ। 

মাঝে অভিনয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে একটি সিনেমায় গাইবার কথা, সেটির খবরও মিলেছে ২০১৯-এর দিকে। এবার পাওয়া গেলো তার ফল। উন্মুক্ত হলো জয়ার গাওয়া প্রথম গান ‌‘সুখের মাঝে’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা-সুরের গানটি যে শুধু গাইবার জন্য গাওয়া, তা কিন্তু নয়। এই গাওয়াটিও অভিনয়ের স্বার্থেই। গানটি ব্যবহার হলো সদ্য মুক্তি পাওয়া অতনু ঘোষের ‘বিনিসুতোয়’ চলচ্চিত্রে। যা কলকাতায় মুক্তি পেয়েছিল ২০ আগস্ট। ছবিতে গানটির সঙ্গে জয়া আহসান ঠোঁটও মেলালেন। তার সঙ্গে ছিলেন নায়ক ঋত্বিক চক্রবর্তী।
 
ছবি মুক্তির পর গানটি সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে ইকো বেঙ্গলি মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে। প্রশংসা মিলছে তুমুল। যেমন, ‘কি সুন্দর মোহের আবেশ তৈরি করলো জয়ার কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতটি। মোহাচ্ছন্ন হয়ে শুনলাম গানটি। আহা! কি কণ্ঠস্বর।’ আরেকজন লিখলেন, ‘এতো ভালো রবীন্দ্রসংগীত অনেক প্রথিতযশা শিল্পীও গাইতে পারে না আজকাল। জয়া যা গাইলো, যেভাবে যে যে জায়গায় দম নিলো, যেভাবে ‘পেয়েছি’র ‘পে’ থেকে ‘য়ে’-টা আলাদা করে বললো, অনেক ভালোলাগা বেড়ে গেলো ওর প্রতি।’
 
জয়ার কণ্ঠটিকে ঘিরে এমন অসংখ্য মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউব হয়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। বিপরীতে জয়ার কণ্ঠে বিনয়ের সুর, ‘নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি গাইবার। আশা করছি, আপনাদের ভালো লাগবে।’

প্রশ্ন ছিল, এবারই কি প্রথম গাইলেন? জয়া বললেন, ‘‘এবারই প্রথম। তবে ‘ডুব সাঁতার’-এ গুন গুন করে ‘তোমার খোলা হাওয়ায়’ গানটি একটু গেয়েছিলাম। ওটাকে ঠিক গাওয়া বলা যাবে না। এবার তো রীতিমতো প্রফেশনালি গাইলাম। যদিও কতোটা ভালো হয়েছে সেটা শ্রোতা-সমালোচকরাই ভালো বলতে পারবেন।’’

জয়ার গলার প্রশংসা করছেন পরিচালক অতনু ঘোষও। তিনি কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জয়ার অভিনয়ের সঙ্গে দর্শকের জন্য বাড়তি পাওয়া হিসেবে এসেছে তার কণ্ঠের গান। এ গানটির কথা আলাদা করে বলছেন দর্শক।

অতনু বলেন, ‘গান গাওয়ার আগে জয়া নিজের গলা যথেষ্ট ঘষামাজা করেছেন। সেটা তার গায়কীই বলে দিচ্ছে। তার কথা বলার নিজস্বতা রয়েছে। সেখানে অন্য কোনও কণ্ঠ গানটি গাইলে মানাত না। জয়া অনেক শ্রম দিয়েছেন এ গানে।’