সালমান শাহ- বলা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের বরপুত্র। সিনেমায় সবচেয়ে রোমান্টিক নায়কদের অন্যতম তিনি। রূপালি পর্দায় শাবনূরকে নিয়ে জুটি বেঁধে দিয়েছিলেন একের পর এক ব্যবসাসফল ও নন্দিত ছবি।
সফল জুটি হিসেবেও তারা সবার উপরেই থাকবেন। আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) সালমান শাহর জন্মদিনে তাকে নিয়ে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানালেন শাবনূর।
অস্ট্রেলিয়া থেকে এক ভিডিওবার্তায় নিজের সহকর্মীকে নানা বিশেষণে তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি।
শাবনূর বলেন, ‘সালমান শাহ- এমন একটি নাম যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোনালি সময়। অতি অল্প সময়ে অগণিত ভক্তের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। প্রতিবছর এদিন কোটি ভক্তের হৃদয় আলোড়িত করে সালমান শাহ ফিরে আসেন ক্ষণিকের জন্য। অকাতর ভালোবাসা অঞ্জলি নিয়ে ফিরে যান অযুত নক্ষত্র ভিড়ে। ভালো থেকো সালমান শাহ, প্রতিদিন; যেখানেই আছো।’
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢালিউডের ক্ষণজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহের ৫০তম জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে নানার বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে তার জন্ম। মৃত্যু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। মাত্র ২৫ বছরের জীবন।
মাত্র চার বছরে ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সব শ্রেণির দর্শক-সমালোচকদের মন জয় করে তারকা হওয়ার জন্য সময়টা যথেষ্ট নয়। এরমধ্যে প্রায় দশটি অসমাপ্ত ছবি। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
১৯৮৫/৮৬ সালের দিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনায় ‘কথার কথা’ নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচার হতো। এর কোনও একটি পর্বে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ নামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও পরিবেশিত হয়। হানিফ সংকেতের কণ্ঠে গাওয়া এই মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়ার মাধ্যমেই সালমান শাহ মিডিয়ায় প্রথম সবার নজর কাড়েন। তখন অবশ্য তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন।
আরও কয়েক বছর পর প্রয়াত নাট্যজন আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় ‘পাথর সময়’ ধারাবাহিক নাটকে একটি ছোট চরিত্র এবং কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছিলেন। তবে রুপালি পর্দায় সালমান সাম্রাজ্যের সূচনা হয় ৯০ দশকের শুরুর দিকে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে। বাকিটা ইতিহাস।
গায়ক হিসেবেও সালমানের পরিচিতি ছিল। ছোটবেলা থেকেই শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি দারুণ আগ্রহ ছিল তার। বন্ধুমহলে সবাই তাকে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চিনতেন। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।