ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কোচ কোম্যানকে নিয়েও সঙ্কট চলছে বার্সেলোনায়!
Published : Sunday, 19 September, 2021 at 5:57 PM
কোচ কোম্যানকে নিয়েও সঙ্কট চলছে বার্সেলোনায়!বার্সেলোনার বর্তমান কোচ রোনাল্ড কোম্যানকে নিয়োগ দিয়েছে হোসে মারিয়া বার্তেম্যু বোর্ড। যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তুমুল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। বার্সাকে পুরোপুরি দেউলিয়া বানানোর পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন বার্তেম্যু প্রশাসন।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা দায়িত্ব নেয়ার পর পুরনো বোর্ডের নেয়া অনেক সিদ্ধান্তই পরিবর্তন করে ফেলেছেন। কোচ রোনাল্ড কোম্যানকেও তিনি পরিবর্তন করে ফেলতে চান। কিন্তু নানা ট্যাকনিক্যাল কারণে হয়তো নিজের ইচ্ছে বাস্তবায়ন করতে পারছেন না তিনি।

তবে হুয়ান লাপোর্তা যে কোম্যানকে চান না- এটা স্পষ্ট করে এই ডাচ কোচকে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ কথা এখন মুখ ফুটে মিডিয়ার কাছে স্বীকার করছেন খোদ রোনাল্ড কোম্যান নিজে। গত জুনেই নাকি লাপোর্তা বার্সা কোচকে বলেছিলেন, ‘আমি আরেকজন বিকল্পের (কোচ) সন্ধানে করবো।’

লাপোর্তা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল কোচ হিসেবে কোম্যানকে তিনি খুব একটা পছন্দ করছেন না। রব ইয়ানসেন নামে এক সাংবাদিক একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন ‘ফোরসা কোম্যান’ নামে। সেখানেই কোম্যান বলেন, ‘লাপোর্তা আমাকে বলেছিলেন যে, তার দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে আরেকজন নতুন কোচ খুঁজে বের করতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা ছিল একটা পাগলাটে সিদ্ধান্ত। কোনো কিছুই ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং তার (লাপোর্তা) নিজের ফিলিংস থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। আমি লাপোর্তাকে জবাবে কিছুই বলিনি। তবে হয়তো আমার ভাগ্য ভালো যে, লাপোর্তার আশ-পাশের লোকজনই হয়তো বলেছে যে, কোম্যান থাকুক।’

তবে ডকুমেন্টারিতে কোম্যান দাবি করেন, তার সঙ্গে হুয়ান রাপোর্তার সম্পর্ক সব সময়ই খুব ভালো। ‘আমরা ব্যক্তিগত ভাবে একসঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটাই। এরপর একদিন প্রেসিডেন্ট আমাকে বলেছিলেন, তিনি এখনও বেশ চিন্তার মধ্যে আছেন এবং এ কারণেই অন্য কোচিং অপশনের বিষয়ে একটু সময় নিচ্ছেন।’

তবে নিজের চিন্তার কথা অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন কোম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হলেন প্রেসিডেন্ট। এখানে তিনি রয়েছেন সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য। আমি তাকে বলেছি, যখনই তিনি মনে করবেন যে, আমাকে দিয়ে আর হচ্ছে না, তখনই তা জানিয়ে দিতে। ওই সময়ই আমি বার্সার সাথে পথ চলা থামিয়ে দেবো।’

‘আমি তাকে বলেছি, যদি আমার ওপর ক্ষুব্দ হয় এবং আমাকে আর না চায়, তাহলে তিনি সেটা সরাসরি যেন প্রকাশ করে দেন এবং আমাকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে যেন ফেলে না রাখেন। তাহলে তা আমার নিজের জন্য যেমন, তেমনি দলের জন্যও বেশ ক্ষতিকর।’