১৮ বছর পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে কোনো ম্যাচ না খেলেই শুক্রবার নিরাপত্তার হুমকির কথা বলে হঠাৎ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান টেলিফোনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
শুক্রবার খেলা শুরুর ঠিক দেড় ঘণ্টা আগে সফর বাতিল করা প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ডেভিড হোয়াইট জানান, আমাদের দলের উদ্দেশে খুবই সিরিয়াস হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমরা এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ড সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। পিসিবি আমাদের সিদ্ধান্ত জানার পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত কোনো মতেই আমাদের পাকিস্তানে অবস্থান করা সম্ভব ছিল না।
পাকিস্তান সফর বাতিল হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিথ মিলস জানান, নিঃসন্দেহে সব ক্রিকেটার ও তাদের পরিবারের জন্য সময়টা ভীষণই উদ্বেগের ছিল। শনিবার রাতে ওরা পাকিস্তান ছেড়ে দুবাই পৌঁছানোয় সবাই স্বস্তি পেয়েছেন।
পাকিস্তান সফরে নিউজিল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল। সফর বাতিল হওয়ার পর শনিবার পাকিস্তান থেকে কিউই ক্রিকেটাররা দুবাইয়ে চলে যান। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। এরপর ২৪ জন আগামী সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাবেন। বাকিরা আমিরাতে থেকেই বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।