গতকাল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে বসেছিল পরিচালনা পর্ষদের ১২তম সাধারণ সভা। এই
সভার পরেই আরও একটি সভা বসবে। বিসিবির নির্বাচন ইস্যুতে এই সভা শেষেই
নির্বাচন কমিশন বোর্ডের নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিষয় পরিষ্কার করবেন বলে
জানিয়েছেন বোর্ডের বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মিরপুরে
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন জানালেন, ‘গত বোর্ড সভায়ই মোটামুটি আলোচনা
হয়ে গিয়েছিল। আজকে একটাই মূল ইস্যু ছিল- ভোটার তালিকা। ১৭৪টির মধ্যে ১৭১টি
ফর্ম পেয়েছি। তার মানে এবারের নির্বাচনে ১৭১ জন ভোটার বা কাউন্সিলর।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পাওয়া তালিকা বোর্ডে অবহিত করেছি।’
সঙ্গে যোগ করেন
পাপন, ‘এখানে বেশ কিছু নতুন মুখ আছে। সবাইকে যে চিনি তা না। নামগুলো পড়ে
শুনিয়েছি। নির্বাচন কমিশন এখনই দ্বিতীয় সভায় বসবে। নির্বাচন সংক্রান্ত
সবকিছু তারাই বলে দিবে।’
চলতি মাসে শেষ হয়ে যাবে বর্তমান পরিচালনা
পর্ষদের মেয়াদকাল। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫
কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এজন্য বর্তমান বোর্ড নির্বাচন
ইস্যুতে আর দেরি করতে চায় না। জানা গেছে, চলতি মাসের শেষদিকে না হলেও
অক্টোবরের শুরুতে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।
এরই মধ্যে
নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আইসিএবি’র
(ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট
এম ফরহাদ হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বাকি ৪
জন সদস্য হলেন; বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক,
বিসিবির আইনি পরামর্শক মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ
একরামুল হক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।