চূড়ান্ত হয়ে গেছে বিসিবি নির্বাচনের দিণক্ষণ। পাশাপাশি চূড়ান্ত হয়েছে ১৭১ কাউন্সিলরের নামও। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১৭১ কাউন্সিলর ভোট দিয়ে ২৩ জন পরিচালককে নির্বাচিত করবেন। তিনটি ক্যাটাগরিতে বিসিবির ২৩ পরিচালক পদে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে পরিচালক ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগ) থেকে ১০ জন, পরিচালক ক্যাটাগরি-২ (ক্লাব) থেকে ১২ জন এবং ক্যাটাগরি-৩ (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ক্রিকেটার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান) থেকে একজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন কাউন্সিলররা। এই ২৩জন ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে দু’জন পরিচালক আসবেন। ইতোমধ্যে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
আজ বুধবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পরদিন আপত্তি শুনানিও প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন কাউন্সিলররা। মিরপুরে বিসিবি কার্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। পরদিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৬ অক্টোবর বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আইসিএবি’র (ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট এম ফরহাদ হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বাকি চার সদস্য হলেন— বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বিসিবির আইনি পরামর্শক মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ একরামুল হক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে বিসিবি সভাপতি হিসেবে পাপনের মেয়াদ। সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন তিনি। এবার তৃতীয় দফায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আগেরবারের মতো সেই উত্তাপ নেই। আগামী মাসের শুরুতে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায় এই বোর্ড।