ছেলে বন্ধুর সঙ্গে নিখিল জৈনর ঘনিষ্ঠতার খবর বের হতেই যেন আগুনে ঘি পড়েলো। নিখিল জানিয়েছেন, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্তান জন্ম দিয়ে ট্রলের শিকার হয়েছেন নুসরাত জাহান। তাই মুখ বাঁচাতে নুসরাত তার বিরুদ্ধে নোংরা অভিযোগ করছেন। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই আলাদা রয়েছেন নিখিল-নুসরাত। তবে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খুব একটা মুখ খোলেননি তিনি। সম্প্রতি নুসরাতের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গেছে, নিখিল উভকামী। এ কারণেই বিয়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন নুসরাত।
বিয়ের কয়েক মাস পরই ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে নুসরাতের হাসপাতালে ভর্তির খবর চাউর হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, জন্মদিনের পরেই নাকি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। শোনা গেছে, নিখিলের জন্মদিনের রাতেই নাকি নিখিল ও তার ছেলে বন্ধুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন নুসরাত। এমনকি নিখিলের বিবাহিত বন্ধুর স্ত্রীও নাকি তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং শেষমেষ তাদের ডিভোর্স হয়।
তবে নিখিল জানিয়েছেন, এইসব ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ভুল ধারণা। এটা পুরোপুরি মিথ্যে কথা। আমি পুরোপুরি স্ট্রেট। টলিউডের অনেকেই নিজের মতো করে স্টোরি বানায় লাইমলাইটে থাকতে। আমার নামেও পুরো মিথ্যে রটানো হচ্ছে। নুসরাত নিজের মুখ লুকাতে চেষ্টা করছে। কারণ একাধিকবার মাথার সিঁদুর ও সন্তানের জন্য ট্রোলড হয়েছে নুসরাত। এখন মিথ্যে অভিযোগ এনে আমার দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করছে।
যদিও নুসরাতের ঘনিষ্ঠমহল তা মানতে নারাজ। তারা বলছে, একাধিক রূপান্তরকামীদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নিখিলের। সেই কথা নুসরাত জানার পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। ঘনিষ্ঠমহলের আরও দাবি, নিখিল বেশিরভাগ সময়েই নেশাগ্রস্ত থাকতেন। রাত করে বাড়ি ফিরে নেশার ঘোরে বাথরুমেই ঘুমিয়ে পড়তেন। এই সব কিছু সহ্য করতে না পেরেই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত।