দরজায়
কড়া নাড়ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। নতুন কোচ অস্কার ব্রুজন এক সপ্তাহ হাতে সময়
পাচ্ছেন নতুন করে দল গড়তে। তবে নতুন দল নিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী এই
স্প্যানিয়ার্ড। আজ (বুধবার) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দল নিয়ে
নিজের অভিপ্রায় জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমি জাদুকর নই, যোদ্ধা। এই দল নিয়ে
সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করবো।’
জেমি ডে’কে সরিয়ে ব্রুজনের হাতে
লাল-সবুজ দলের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ঘোষণা করা
হয়েছে ২৬ সদস্যের সাফের দল। বাফুফে ভবনে বসে ব্রুজন বলেছেন, ‘আমাদের হাতে
সপ্তাহখানেক সময় আছে। বিপিএলের (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) সেরা খেলোয়াড়রাই
এই দলের অংশ। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সেরা ক্লাবগুলোর সেরা খেলোয়াড়, যারা
সচরাচর জিতে, তাদের নিয়ে এই দল গড়া হয়েছে।’
জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে
কোনও চাপ অনুভব করছেন না ব্রুজন। এগিয়ে যেতে চান সামনের দিকে, ‘বাংলাদেশের
র্যাঙ্কিং কত, জানেন। জাতীয় দল যখন খেলে, তখন গোল না হজম করার মানসিকতা
নিয়ে খেলে, সেটাও আপনারা জানেন। আমরা এই মনোভাব বদলের চেষ্টা করবো। আমি
ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। ক্লাবে আমরা যে কাজটা করতাম, জাতীয় দলেও একই কাজের
ধারাবাহিকতা রাখতে চাই।’
খেলোয়াড়দের সবাইকে ভালো করে জানা আছে ব্রুজনের
ঢাকার মাঠে কোচিং করার কারণে। সেটা বেশ কাজে দেবে। ৪৪ বছর বয়সী কোচের
ভাষায়, ‘আমরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে যাচ্ছি- বিষয়টা ওভাবে বলবো না। তবে
হ্যাঁ, খেলোয়াড়দের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমার চিন্তা, পরিকল্পনা
ছেলেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ৫০ ভাগ সুযোগ
আছে। ভিন্ন কিছুর স্বাদ তারা পেতে পারে। চিন্তার কিছু নেই। যদি পরিকল্পনা
কাজে না দেয়, তাহলে আমিই প্রথম দায় নেবো। কেননা, প্রধান কোচ হিসেবে এটা
নেওয়া আমার দায়িত্ব।’
সাফের ফাইনালে খেলার লক্ষ্য বাফুফে
কর্তাব্যক্তিদের। কোচ নিজেও সেখানে দলকে দেখতে চাইছেন। তবে বাস্তবতা মেনে
বলেছেন, ‘আমরা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সেকেন্ড বটম টিম (৫ দলের মধ্যে)। কিন্তু
আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে। আমি এখানে ফাইনাল খেলার জন্য এসেছি এবং এই
চাওয়াটা আপনাদের কাছে লুকাচ্ছি না। এখন ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই।
টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করবো। ৪-৩-৩ ও ৪-৪-২ এই ফরমেশন নিয়ে
কাজ করবো। খুব অল্প সময়ের মধ্যে যার যার পজিশনে মানিয়ে নিতে হবে।’
জামাল-সুফিলদের
মানসিক দিক নিয়েও কাজ করার কথা বললেন বসুন্ধরা কিংসকে লিগ জেতানো এই কোচ,
‘ছেলেদের বোঝাতে চাই, আমরা লুজার, কতটা গোল হজম করবো- এটা ভেবে যেন মাঠে না
নামি। প্রতিপক্ষ যদি হাই ব্লক করে খেলতে চায়, আমরাও হাই ব্লক করবো। আমরা
আত্মঘাতী হতে চাই না। এক সপ্তাহের মধ্যে ফুটবলকে আমূল বদলে দেওয়া সম্ভব নয়।
কেননা, আমি জাদুকর নই, আমি যোদ্ধা। অনেক হিসেব কষে, ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা
করে এখানে এসেছি।’
সাফের প্রতিপক্ষ নিয়েও ব্যাখ্যা দিলেন ব্রুজন,
‘আমাদের পর র্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কা আছে। বাকি তিনটি দলই উপরে। আমি বিশ্বাস
করি, এই টুর্নামেন্টে মালদ্বীপ ও নেপালই আমাদের মূল প্রতিপক্ষ।’