দেশে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা আরও কিছুটা কমে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫
হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ১ হাজার ১৪৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত ২৯ মের পর সবচেয়ে কম। সেদিন ১ হাজার ৪৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
এরপর
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে দেশে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে
থাকে। জুলাই মাসে এক দিনে শনাক্ত রোগী ১৬ হাজারও ছাড়িয়ে যায়।
গত এক
দিনে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২৭
মের পর সবচেয়ে কম। সেদিন ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারে দেশে সংক্রমণ বাড়তে
থাকলে অগাস্ট মানে এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াইশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত
কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।
গত
এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর
সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৩৩৭ জনের
মৃত্যু হয়েছে এ রোগে।
বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার
দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা আগের দিন ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ছিল। দেশে সাড়ে
ছয় মাস পর দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত কোভিড রোগীর হার গত
মঙ্গলবার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৭৬৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি।
যে ২৪ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ১১ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট
তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে
২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী
শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত
করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫
অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক
দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৯৮ লাখের বেশি রোগী।