কুমিল্লায় অন্যজনের সঙ্গে স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ক্ষোভ-অভিমানে এমরান হোসেন মুন্না (২৯) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর বারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছেন মুন্নার বাবা মো. মতিউর রহমান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে (বর্তমানে সরকারি সিটি কলেজ) পড়তেন মুন্না ও তার স্ত্রী। দুই জন এক বছরের সিনিয়র-জুনিয়র। এ সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক পর থেকেই পারিবারিক জীবনে টানাপড়েন শুরু হয়। ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তার স্ত্রী। এই সুবাদে বেশিরভাগ সময় ঢাকাতেই থাকতেন। কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন মুন্না। পরে চাকরি ছেড়ে কুমিল্লাতে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। দিন দিন তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, ঢাকায় একজনের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে মুন্নাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন তিনি। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারার অভিযোগে মুন্নাকে মরে যাওয়ার কথাও বলতেন। এতে আরও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মুন্না। গত বুধবার আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে স্ত্রীকে ছবি পাঠান। এরপর নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মুন্না। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বাদ জোহর জানাজার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনয়ারুল আজিম জানান, মুন্নার পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।