বৃহস্পতিবার রাতে তুলনামূলক কাদিজের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা। ম্যাচে তাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে তারকা মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের লাল কার্ড। শুধু ডি ইয়ং একাই নন, লাল কার্ড দেখেছেন দলের কোচ রোনাল্ড কোম্যানও।
তাই স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে রেফারি কার্লোস দেল সেরো গ্রান্দের রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাতালান ক্লাবটির কোচ। তার মতে, স্পেনে কোনো কিছু করার আগেই খেলোয়াড়দের বের করে (লাল কার্ড দেখিয়ে) দেয়া হয়।
কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচটিসহ শেষ তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। সবমিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে বার্সার জয় মাত্র একটি। একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সে পাঁচ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান সপ্তম।
শেষ ম্যাচটির ৬৫ মিনিটের সময় মাঝমাঠে কাদিজের খেলোয়াড়কে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হয় ডি ইয়ংকে। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের পায়ে লাগার আগে বলেই লাথি মেরেছিলেন ডাচ মিডফিল্ডার।
তবু লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরে ম্যাচের শেষ দিকে অনেকটা অযথাই হলুদ কার্ড দেখানো হয় বার্সেলোনার আরেক মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটসকে। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় আবার লাল কার্ড দেখেন দলের কোচ কোম্যান।
এ সিদ্ধান্তগুলো নিয়েই চটেছেন বার্সা কোচ। ম্যাচ শেষে বার্সা টিভিতে তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে নার্ভাসনেসের কারণে লাল কার্ড দেখায়নি। তারা আমাকে বের করেছে কারণ আমি রেফারিকে বলছিলাম যে মাঠে দুইটা বল চলে এসেছে, খেলা বন্ধ করা উচিত।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই দেশে (স্পেনে) তারা কিছু না করতেই আপনাকে (লাল কার্ড দেখিয়ে) বের করে দেয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেনো? সে (রেফারি) বললো, “এটিচ্যুড! এটিচ্যুড!” যাই হোক আমরা এটি নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাই না।’
এদিকে লাগাতার হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দলের ডিফেন্ডার সার্জিও রবার্তোর ভাষ্য, ‘আমাদের লা লিগা জিততে হবে। আমরা সেরা চারে থাকতে খেলছি না। অবশ্যই লা লিগার জন্য লড়তে হবে। আমার মনে হয় না, অন্য দলের (আমাদের চেয়ে) ভালো স্কোয়াড রয়েছে।’