ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নেটফ্লিক্সে পাওয়া যাচ্ছে গা ছমছমে চার সিনেমা
Published : Saturday, 25 September, 2021 at 12:35 PM
নেটফ্লিক্সে পাওয়া যাচ্ছে গা ছমছমে চার সিনেমারাতে একা সিনেমা দেখার বাতিক যাদের, তাদের জন্যও বিশেষ আয়োজন আছে নেটফ্লিক্সের। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এ ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় গা ছমছমে কয়েকটি সিনেমার কথা-

ক্রিপ

অ্যারন একজন ভিডিওগ্রাফার। কোনও এক অনলাইন সাইটে একটা বিজ্ঞাপন দেখতে পায় সে। এক দিনের কাজে হাজার ডলার পাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে অ্যারন চলে যায় বিজ্ঞাপনদাতা জোফেসের ঠিকানায়। দেখা করে জানতে পারে, জোসেফের ব্রেইন টিউমার। সে দুই তিন মাসের মতো বাঁচবে। এও জানে যে তার নিজ সন্তান জন্ম হবার আগেই তিনি মারা যাবে। এখন অ্যারনের কাজটা কী?

জোসেফ চায় নিজের শিশুর জন্য একটা ভিডিও বার্তা তৈরি করে যেতে। যাতে সে মারা যাবার পর শিশুটি তার বাবা সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর থেকেই ঘটতে থাকে ভৌতিক ও অস্বস্তিকর সব ঘটনা।

আনফ্রেন্ডেড

সিনেমার মূল চরিত্র ম্যাথিয়াস সাইবার ক্যাফেতে একটা ল্যাপটপ খুঁজে পায়। বাসায় নিয়ে আসে ওটা। সে ল্যাপটপে নিজের আইডি প্রবেশ করিয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও কলে আড্ডা দিতে থাকে। হঠাৎ ল্যাপটপে সমস্যা দেখা দিলে সে তার এক বন্ধুকে জানায়। বন্ধুর দেওয়া পরামর্শে সে তা ঠিক করে এবং এখানেই গল্প নতুন মোড় নেয়। সে আবিষ্কার করে ল্যাপটপটিতে একটি গোপন ড্রাইভ রয়েছে। যেখানে শিউরে ওঠার মতো অনেক ছবি ও ভিডিও পায়। বন্ধুদের বিষয়টি জানালে সে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে মেসেজ পায়। তাকে দেওয়া হয় মেরে ফেলার হুমকি। এভাবে ফাঁদে পড়ে ম্যাথিয়াস। এ খেলায় শেষ পর্যন্ত কী হয় জানতে হলে দেখতে হবে সিনেমাটি।

ক্রিমসন পিক

অল্প বয়সেই মা-বাবাকে হারায় এডিথ। মা যেদিন মারা যায়, সেদিন রাতেরই ঘটনা- সে তার মৃত মায়ের ছায়া দেখতে পায়! তার মা তার কাছে এসে বলতে থাকে, ‘ক্রিমসন পিক থেকে দূরে থেকো!’ এরপরে ১৪ বছর পার হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক এডিথ একজন ভালো লেখক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। এরই মধ্যে, থমাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারা ইংল্যান্ডের এক গ্রামে চলে আসে। সেখানে ক্রিমসন পিক নামের এক প্রাসাদতুল্য বাড়িতে থাকতেও শুরু করে। এরপরই এডিথের মনে পড়ে মায়ের সাবধানবাণী। বাড়িটাও কেমন অদ্ভুত লাগতে থাকে। সঙ্গে থমাসের বোন লুসিলের কার্যকলাপও অন্যরকম।

ভেরোনিকা

নিষিদ্ধ কিছু চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের কোন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে পারে; তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ভেরোনিকা। তিনি একজন কলেজপড়ুয়া। বাবা মারা যাওয়াতে পরিবারের দায়ভার মায়ের কাঁধে এসে পড়ে। সংসার চালাতে ওভারটাইম খাটতে হয় মাকে। ভেরোনিকা তার ছোট তিন ভাই-বোনের দেখাশোনার দায়িত্ব নেয়।

কলেজে ক্লাস চলাকালীন দুই বান্ধবীর পরামর্শে মারা যাওয়া প্রিয় মানুষদের দেখা পেতে প্রলোভিত হয় ভেরোনিকা। সে তার মৃত বাবার দেখা পেতে জেদ ধরে বসে। বান্ধবীরা এটাকে মজা হিসেবে নিলেও ভেরোনিকা বেশ সিরিয়াস। এমন সময় এক সূর্যগ্রহণের অন্ধকারে ভেরোনিকা নিজের অজান্তে জড়িয়ে পড়ে অন্য এক জগতে।