লিম্ফ নোডগুলিকে মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হিসাবে মনে করা হয়। এগুলি লিম্ফ্যাটিক তরলে উপস্থিত অবাঞ্ছিত পদার্থগুলিকে সব সময় ফিল্টার করে থাকে। এরা আমাদের বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রেখে সুস্থ রাখে।
টনসিল হচ্ছে এমনই এক জোড়া লিম্ফ নোড যা গলার পেছনের দিকে থাকে। টনসিলও আমাদের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংস্পর্শে থাকার কারণে আমাদের টনসিল ঘন ঘন সংক্রমিত হয়। এটি এমন একটি উপসর্গ সৃষ্টি করে যা সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতোই মনে হয়। তবে গলার অংশে মারাত্মক ব্যথার সৃষ্টি হয়। টনসিলাইটিস প্রতিরোধের কিছু উপায়-
শরীর এবং গলার জন্য বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ:
যে কোনও ধরণের সংক্রমণের সময় বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত পরিশ্রম ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। বরফ চুষলে তা প্রদাহকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু ঠান্ডা পানি, সফ্ট ড্রিঙ্কস এবং চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলি ব্যাকটেরিয়াকে আরও ছড়িয়ে দেয়।
অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রতিষেধক বলে ধরে নেবেন না:
ভাইরাল গলা ব্যথা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায় না। তাই এই রোগে নির্ধারিত ওষুধ প্রায়ই অকেজো হয়। স্ট্রেপ থ্রোটের ক্ষেত্রে এটি সাহায্য করতে পারে ঠিকই, তবে সেক্ষেত্রে লক্ষণগুলি আলাদা করা এবং এটি ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিরক্তির জন্য সতর্ক থাকুন:
ধূমপান গলাকে শুষ্ক করে দেয় এবং গলার দেয়ালগুলিতে আরও জ্বালার সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে অস্বস্তির মাত্রা বাড়তে থাকে। টনসিল ফুলে গেলে মারাত্মক রকমের অস্বস্তি হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান:
স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য খেলে তা গলা ব্যথার চিকিৎসায় সাহায্য করে থাকে। সেই সঙ্গে ফ্লুয়ের মাত্রাও কমাতে পারে। খাদ্যের রুটিন ঠিকঠাক না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, আমাদের টনসিল মাঝে মধ্যেই ফুলে যেতে পারে।
সাইনাস পরিষ্কার করা:
ক্রমাগত সাইনাস পরিষ্কার করতে থাকলে শ্লেষ্মায় সংক্রামিত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া খুব সহজে দূর করা সম্ভব। এই পদ্ধতি আমাদের নাকের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থগুলিকে শ্বাসনালীতে যাওয়া থেকে আটকায়।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন:
গ্রীষ্মের মতোই শীতকালেও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুব বেশি মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ। খাবার পানি আমাদের গলাতে কোনওরকম অবাঞ্ছিত পদার্থ জমতে বাধা দেয়। যার ফলে টনসিলে প্রদাহের সম্ভাবনা কমে যায়।
