শনিবার বিকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন এর নেতৃত্বে বুড়িচং থানার এস আই আজিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ পীর যাত্রাপুর ইউনিয়ন এর শ্যামপুর গ্রামে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটার স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০০ শত মিটার পাইপ দুটি ডেজার মেশিন ভাংচুর চালিয়ে নষ্ট করে দেয় এবং অভিযুক্ত ডেজারের মালিক মনির হোসেন মনু ও তার ছেলে সুমন মিয়া কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দায়ের করে। জানা যায় জেলার বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের মোঃ মনির হোসেন মনু ও তার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বুড়িচং ও ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বাড়ি ঘর , ডুবা গর্ত ভরাটের কাজ দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে প্রশাসন কে মনির হোসেন মনু ও তার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ ডেজার মেশিন দিয়ে জন সাধারণ ও পরিবেশের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। দুই উপজেলার ৮-১০ টি গ্রামে অবৈধ এ ধরনের কাজ চালিয়ে আসছে।
শনিবার বিকাল ৪ টায় বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন এর নেতৃত্বে বুড়িচং থানার এস আই মোঃ আজিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায় পীর যাত্রাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন ও জহির হকের বাড়ির পাশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পায় মনির হোসেন মনু ও তার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া দুটি ডেজার মেশিন দিয়ে জসিম উদ্দিন ও জহির হকের জমও থেকে অবৈধ ভাবে পাইপ দিয়ে মাটি বিভিন্ন স্হানে সরবরাহ করছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ডেজার মেশিন দুটি এবং ৩শত মিটার পাইপ ভাংচুর চালিয়ে নষ্ট কর দেয় এবং ডেজারের মালিক মনির হোসেন মনু ও তার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শনিবার বিকালে খবর পেয়ে উপজেলার পীর যাত্রাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ দুটি ডেজার মেশিন ও ৩শত মিটার পাইপ নষ্ট করা হয়। এছাড়া ডেজারের মালিক মনির হোসেন মনু ও তার ছেলে সুমন মিয়া কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এধরণের অবৈধ কর্মকাণ্ড যেখানে চলুক আমরা অভিযান চালিয়ে তা কঠোর হস্তে দমন করবো।