ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেশে-বিদেশে অপপ্রচার এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে
Published : Tuesday, 28 September, 2021 at 12:00 AM
দেশে-বিদেশে অপপ্রচার এদের মুখোশ খুলে দিতে হবেবাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। সামাজিক-অর্থনৈতিক নানা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই অর্জনে যেকোনো বাঙালি গৌরবান্বিত বোধ করে। কিন্তু একাত্তরে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, স্বাধীনতার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল, তাদের অনেকেই বাংলাদেশের এমন অগ্রগতিকে মেনে নিতে পারে না। ভেতরে ভেতরে জ্বলে মরে। তারা দেশে বা বিদেশে সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের দুর্নাম করে। তাদের এমন দুর্নামের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচনাকারীরা ভুলে যায় যে আমি জাতির পিতার মেয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতি ভোগের জন্য নয়, আত্মত্যাগের জন্য। আমরা দেশের জন্য কাজ করি। তিনি বলেন, অতীতে যারা লুটপাটের জন্য রাজনীতি করেছে, তাদের সমর্থকরাই শুধু দেশবিরোধী ও সরকারবিরোধী এমন অপপ্রচার করতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেড় দশক আগেও বাংলাদেশে মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল ৫০০ ডলারের কম। এখন তা দুই হাজার ২০০ ডলারের বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাঁচ গুণ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে। করোনায় যখন সারা পৃথিবীর অর্থনীতি হাবুডুবু খাচ্ছে, তখনো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৬ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ এত দিন শুধু বিদেশি ঋণ নিয়েছে, আর এখন ঋণ দেওয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছে। নিজ অর্থে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছে। দেশ আজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাত্র এক দশকে এমন অগ্রগতি সত্যিই বিস্ময়কর! মধ্যখানে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সহযোগিতায় বিএনপি যদি অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি না করত, দেশ এত দিনে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে আদালত অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন, সেই তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সেই অবৈধ সরকারের যারা তাঁবেদারি করেছে, তারা কোন মুখে আওয়ামী লীগকে বা আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলে? প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত যৌক্তিক প্রশ্ন করেছেন। আমরা মনে করি, এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য গণতান্ত্রিক মনমানসিকতা থাকা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক চর্চা থাকা প্রয়োজন। যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে গ্রেনেড হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে, তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতির দাবি জানাবে কোন মুখে? যারা অর্থের বিনিময়ে বিদেশি কম্পানির হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়, বিদেশের আদালতে যাদের মুদ্রাপাচারের ঘটনা প্রমাণিত হয়, তারা তো লুটপাটকারী। তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকে না। যারা ক্ষমতা দখলের জন্য ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।