উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূল থেকে সাগরে একটি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার সকালে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার দূত পিয়ংইয়ংয়ের আত্মরক্ষা এবং অস্ত্র পরীক্ষার অধিকার কেউ অস্বীকার করতে পারে না বলার পর এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা ঘটল।
চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালায়।
কিন্তু এর মধ্যে আবার উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছার কথাও জানায়।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে অবগত। তবে এ পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা তার মিত্রদের কারও ওপর তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করেনি।
জাপানের গণমাধ্যমগুলো দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানাচ্ছে, এটি ব্যালাস্টিক মিসাইল হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য এবং কিমের বোনের বিবৃতি সম্পর্কে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
করোনার মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। তবু দেশটি তাদের অস্ত্র পরীক্ষা কমায়নি। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অ্যাটমিক এজেন্সি জানায়, উত্তর কোরিয়া তাদের ইয়ংবেয়ন পারমাণবিক চুল্লি ফের চালু করেছে বলে মনে হচ্ছে। চুল্লিটিতে পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহৃত প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হতো।