ব্যাংক চেক ডিজঅনার মামলায় ৫ বছরের দণ্ডিত হয়ে সাজার ভয়ে ১৪ বছর ধরে পলাতক ছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের আবু সাঈদ তালুকদার (৪২)। তবু শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
মঙ্গলবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সখীপুর উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কদ্দুস মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার কচুয়া সড়কে গাউজ ভান্ডারি কাগজ বিতান নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রবাসীদের ব্যাংক ড্রাফটের ব্যবসা করতেন আবু সাঈদ। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সখীপুর বাজারের বণিক সমিতির সদস্য মামুন মিয়া টাঙ্গাইল আদালতে আবু সাঈদকে আসামি করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার ব্যাংক চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওই বছরই তার নামে আদালত থেকে থানায় গ্রেপতারি পরোয়ানা আসে। ২০০৮ সালে তার ৫ বছরের সাজা হয়।
সখীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সানিউল আলম বলেন, আবু সাঈদ ২০০৭ সালে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পালিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকছিলেন। ওই সংসারে তার আট ও দুই বছরের দুটি মেয়ে আছে। ১৪ বছর ধরে তিনি সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে সাইদুল হক ভুঁইয়া বলেন, আবু সাঈদের ৫ বছরের সাজা হয়েছিল। তিনি সখীপুর থানার সবচেয়ে পুরনো পলাতক আসামি ছিলেন।