বগুড়ার নন্দীগ্রামে শামিমা আক্তার (২৩) নামে এক তরুণীর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামিমা নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা সোনাপুকুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগে একই গ্রামের রেহেনা নামের এক নারীর ছয় মাস বয়সী ছেলে সন্তান আব্দুল্লাহকে পালিত হিসেবে গ্রহণ করেন শামিমা আক্তার। রেহেনা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় তার সন্তানকে দেওয়ার পাশাপাশি ভরণ-পোষণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা শামিমাকে দেন।
তিন মাস পর আব্দুল্লাহকে রাখতে পারবে না বলে রেহেনাকে জানিয়ে দেন। এতে রেহেনা ৩০ হাজার টাকাসহ আব্দুল্লাহকে ফেরত চান। কিন্তু শামিমা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রেহেনার বোন সফুরা বেগম শামিমার বাড়িতে গিয়ে টাকাসহ সন্তান ফেরত চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে রেহেনার পরিবারের লোকজন শামিমার বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহকে নিয়ে চলে যায়। বুধবার সকালে শোবার ঘরে শামিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল বারী জানান, পালিত সন্তান নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে শুনেছি। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে জানি না।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।