খেলবেন, জিতবেন-নারী ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই জুড়ে গেছে কথাগুলো। জাতীয় ভারোত্তলনের তৃতীয় দিনে ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতে সাফল্যের ধারা অব্যাহতও রেখেছেন সর্বশেষ দুটি এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী এ ভারোত্তলক।
কিন্তু স্বর্ণ জিতেও হতাশার ছায়া মাবিয়ার চোখেমুখে। নিজের রেকর্ডটা যে টপকাতে পারেননি! স্ন্যাচে ৮১ কেজি তুলতে পারলে বাংলাদেশ গেমসে নিজের গড়া ৮০ কেজির রেকর্ড ভাঙতে পারতেন। কিন্তু শেষ লিফটটা ‘নো’ হয়ে যায় দেশসেরা এই নারী ভারোত্তলকের।
মাবিয়া স্বর্ণ জিততে স্ন্যাচে তুলেছেন ৭৫ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৫ কেজি। সবমিলিয়ে ১৭০ কেজি ওজন তুলে জাতীয় প্রতিযোগিতায় টানা নবম সোনা জিতলেন মাবিয়া।
মাবিয়া না পারলেও তৃতীয় দিনে হয়েছে পাঁচটি রেকর্ড। ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রোকেয়া সুলতানা তিনটি রেকর্ড করে স্বর্ণ জিতেছেন। তিনি স্ন্যাচে রেকর্ড ৭০ কেজি তোলেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্কেও রেকর্ড গড়ে তোলেন ৯০ কেজি। সবমিলিয়েও রেকর্ড (১৬০ কেজি) ওজন তুলেছেন।
ছেলেদের ৮৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে বাংলাদেশ আনসারের সাখাওয়াত হোসেন রেকর্ড গড়েছেন স্ন্যাচ ১২৫ কেজি তুলে। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৩০ কেজি। সবমিলিয়ে তুলেছেন ২৫৫ কেজি।
সেনাবাহিনীর মনোরঞ্জন রায় রৌপ্য জিতেও রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ৮১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ১১৮ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪০ কেজি তুলেছেন। মোট ২৫৮ কেজি তুলে রৌপ্য পেয়েছেন।
স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ আনসারের সুমন চন্দ্র রায়, স্ন্যাচে ১১৭ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৫ কেজি (মোট ২৬২ কেজি) তুলে।