টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউ গিনিকে (পিএনজি) ১৮২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। তুলে নিয়েছে ৭ উইকেট। প্রথম পর্বের এই ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির সংগ্রহ ১১.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১ রান।
১৮২ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দেখে শুনে করলেও সাইফউদ্দিনের তৃতীয় ওভারে শেষ রক্ষা হয়নি ওপেনার সিয়াকার। ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ বিফোরে এই ওপেনার বিদায় নেন ৫ রানে। এক ওভার বিরতি দিয়ে হানা দেন পেসার তাসকিনও! অধিনায়ক আসাদ ভালাকে ৬ রানে গ্লাভসবন্দি করান তিনি। নুরুল হাসানের ক্যাচ নেওয়ার ভঙ্গিটাও ছিল দর্শনীয়।
ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো সাকিব তাসকিনের পরের ওভারেই বল তুলে নেন। এসে সাজঘরে পাঠান চার্লস আমিনিকে। লং অনে তার দুর্দান্ত ক্যাচটি নিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। দুই বল পর নতুন নামা সিমোন আতাইকেও সাকিব বিদায় দেন রানের খাতা খোলবার আগেই।
ব্যাটিংয়ে কেঁপে ওঠা পিএনজির রক্ষা কর্তা পাওয়া যায়নি এর পর। সাকিবের বলে সেসে বাউ ৭ রানে ফিরলে স্কোর দাঁড়ায় ২৪ রানে ৫ উইকেট। আগের ম্যাচে ত্রাস ছড়ানো নরমান ভানুয়াকে আজ হাতই খুলতে পারেননি। শূন্য রানেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন অফস্পিনার মেহেদী। সাকিব তার পর হিরি হিরিকে বিদায় দিয়ে তুলে নেন চতুর্থ উইকেট।
এর আগে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিতের ম্যাচে আলো ঝলমলে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তো বটেই, প্রতিযোগিতারই সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছে।
বৃহস্পতিবার ওমানের আল আমিরাত স্টেডিয়ামে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে টস জিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি (২৮ বলে ৫০), সাকিব আল হাসানের কার্যকারি ইনিংস (৩৭ বলে ৪৬) এবং আফিফ হোসেন (১৪ বলে ২১) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের (৬ বলে ১৯*) ছোট ঝড়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে সুবিধা করতে পারেননি নাঈম শেখ (০), মুশফিকুর রহিম (৫) ও নুরুল হাসান সোহান (০)। ২৩ বলে ২৯ রান করেছেন লিটন দাস।
পিএনজির তিন বোলার- কাবুয়া মোরেয়া, দামিয়েন রাভু ও আসাদ ভালা প্রত্যেকে নেন দুটি করে উইকেট।