Published : Sunday, 24 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 24.10.2021 1:25:13 AM
মাসুদ আলম।।
কুমিল্লার
নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার একটায় দুপুরে পুলিশ তাকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
মিথিলা জাহানের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সাতদিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্য আসামীরা হলেন, মণ্ডপে কোরআন পাওয়ার তথ্য
৯৯৯-এ কল করে জানানো ইকরাম হোসেন এবং নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি
(রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদ। তাদেরও ৭
দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম
তানভীর আহমেদ বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল মণ্ডপে কোরআন রাখার কথা
স্বীকার করেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে ইকবালসহ ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে
জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মণ্ডপে
কোরআন রাখার পর হনুমানের গদা নিয়ে ইকবালের চলে যাওয়ার দৃশ্য এলাকার
সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইকবাল গদাটি পরে একটি পুকুরে ফেলে দেন। তবে
পুকুরটির অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে জানাননি তানভীর আহমেদ।
এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, ইকবাল কোরআন রাখার পর মণ্ডপে সহিংসতার সময়েও সেখানে
উপস্থিত ছিলেন। তার পিছনে আরও কারা আছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। তিনি বলেন,
সহিংসতার পর ইকবাল প্রথমে কুমিল্লা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পৌঁছান।
সেখান থেকে বিভিন্ন বাহনে করে কক্সবাজারে যান।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তাকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়।
এর
আগে ইকবালকে কক্সবাজার সৈকত থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। ইকবাল
হোসেন কুমিল্লা নগরীর দারোগাবাড়ি মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ সংগ্রহ করে
কাপড়িয়াপট্টি, চকবাজার হয়ে নানুয়ার দিঘির পাড়ে এসে দপর্ণ সংঘের অস্থায়ী
পূজামণ্ডপে রাখেন। বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা
নিশ্চিত হয়।
বুধবার গণমাধ্যমে ইকবাল হোসেনের নাম আসায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।