পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রায় দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি নেই মুশফিকুর রহিমের। সেই ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬০ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মুশফিক। সেই ইনিংস বিফলে যায়নি। ভারতের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে।
কিন্তু এর পরপরই শুরু হয় মুশফিকের রানখরা। আজকের ম্যাচের আগে খেলা ১১ ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিলো যথাক্রমে ৪, ০, ১৭, ১৬, ০, ২০, ০, ৩, ৩৮, ৬, ৫ রান। একদমই জ্বলে উঠতে ব্যর্থ মুশফিক তিনবার আউট হয়েছেন শুন্য রানে। আর চারবার ব্যর্থ হয়েছেন ডাবল ফিগারে যেতে।
শুধু তাই নয় একবার মাত্র বিশের ওপরে রান করতে পেরেছেন। সেটা এই বিশ্বকাপেরই প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সেদিন ৩৮ করে উইকেট অরক্ষিত রেখে স্কুপ করতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। আর পরের দুই খেলায় ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে চরম ব্যর্থ। যথাক্রমে ৬ ও ৫ রানে সাজঘরে ফেরা।
শুধু কম রানে আউট হওয়াই নয়, শট নির্বাচনেও মুশফিক রাখতে পারেননি দক্ষতার ছাপ। বড্ড দৃষ্টিকটু ঠেকেছে তার আউট। অতিমাত্রায় স্লগ সুইপ আর স্কুপ করে অনেক ইনিংসের অপমৃত্যু ডেকে এনেছেন নিজেই। এসব শটে বারবার আউট হয়ে মুশফিক নিজেই হয়েছেন সমালোচিত।
‘মুশফিক এখন আর টি-টোয়েন্টিতে চলেন না। সময় হয়েছে তার টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেওয়ার’- এমন তীর্যক কথাবার্তাও হয়েছে। হয়তো সেই সমালোচনাই তাকে অনেক বেশি সতর্ক-সাবধানি করে দিয়েছে। আবার রানে ফেরার সংকল্প জাগিয়েছে, মনে হয় তেঁতে উঠেছেন মুশফিক।
তাই আজ শারজায় জ্বলে উঠেছে তার ব্যাট। মাত্র ৩২ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি। শেষপর্যন্ত তিনি অপরাজিত থেকেছেন ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে ৫৭ রান করে। তার ঝড়ো ব্যাটে ভর করেই ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।