সৌদি আরবের কাছে সাড়ে ছয়শ মিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ড্রোন হামলা থেকে সৌদি আরব যেন নিজ ভূমিকে রক্ষা করতে পারে সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক কিনতে চলেছে সৌদি আরব। প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ২৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে রিয়াদ। মাঝারি পাল্লার এই মিসাইল আকাশ থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম। প্রায় ১২ ফুট লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। মূলত, হামলাকারী ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করতেই এই হাতিয়ার ব্যবহার করবে সৌদি যুদ্ধবিমান।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরাক, কুয়েত, জর্ডন ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই জায়গাগুলোতে ‘থাড মিসাইল সিস্টেম’ও রয়েছে। বিভিন্ন সেনঘাঁটিতে থাকা ওই হাতিয়ারগুলো চালানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যক সেনা ও টেকনিশিয়ান রাখতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন ও ড্রোন প্রযুক্তি সরবরাহ করছে ইরান।
হুথিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন কঠোর কৌশল অবলম্বনের অভিযোগের কারণে উদ্বিগ্ন বাইডেন প্রশাসনের সৌদি সমর্থনে নেওয়া সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবেই এই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করা হয় বলে ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে।