চাঁদপুরে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর পর চাঁদপুর থেকে লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যা সঠিক নয়। দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে সোনার তরী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে না যাওয়াই এমন কথা ছড়িয়ে যায়। তবে বিকেল ৫টায় বোগদাদীয়া-৭ লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ইমাম হাসানও যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
মূলত লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি এখন একান্তই মালিকপক্ষের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি কোনো লঞ্চের মালিক চান তাহলে লঞ্চ বন্ধ রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চ যাত্রী পরিবহন সংস্থার সচিব সিদ্দিকুর রহমান।
বাবুল গাজী নামের এক যাত্রী জানান, ২টা ৪০ এর লঞ্চে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুপুর ১টায় বাসা থেকে বের হই। এসে দেখি লঞ্চ নাই। পরে ৩টা ৪০ এর সোনার তরী লঞ্চে যাবো ভেবে অপেক্ষা করলাম, সেটিও ছাড়লো না। এখন অপেক্ষায় আছি বোগদাদীয়া-৭ এর জন্য।
এ বিষয়ে লঞ্চযাত্রী পরিবহন সংস্থার সচিব সিদ্দিকুর রহমান জানান, লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে চলাচল বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তবে অনেক মালিকপক্ষই তেলের খরচের হিসেবে পুষিয়ে উঠতে না পারায় লঞ্চ ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় লঞ্চ মালিক সমিতি বিষয়টি আপাতত তাদের উপর ছেড়ে দিয়েছে। যার ইচ্ছে লঞ্চ ছাড়বে অথবা চাইলে বন্ধ রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, কয়েকজন লঞ্চ মালিক দাবি করছেন তেলের হিসেবে তাদের খরচ হিসাব করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আবার টাকা ছাড়া ডিলার তেল দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিধায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নেন। তবে এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিক সমিতির কোন সিদ্ধান্ত নেই। বিষয়টি মালিকদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে চাঁদপুর থেকে সময়মতো সবগুলো লঞ্চ ছেড়ে গেছে। দুপুরে হুট করে সোনার তরী ছেড়ে যায়নি। তবে এখনো লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।