নেত্রকোনার একটি বাসা থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত কাইয়ুমের ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মামলাটি করেন।
মামলায় নিহতের স্ত্রী ছালমা খাতুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলায় ছালেমা খাতুন বাদেও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদ্ন্ত করেন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শ্রদ্ধানন্দ নাথ এবং টিটু রায়।
চিকিৎসক শ্রদ্ধানন্দ নাথ বলেন, ‘দুজনের কারোরই মৃত্যুর কারণ এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় দুজনরই ভিসারা সংগ্রহ করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় শহরের নাগড়া এলাকার একটি ভবনের চারতলা থেকে আবদুল কাইয়ুম সরদার (৩২) ও তার দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আবদুল কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালের খামার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। নেত্রকোনা শহরের নাগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তানসহ বাস করতেন আবদুল কাইয়ুম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, আবদুল কাইয়ুম সরদার ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীর মেয়ে ছালমা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে কাইয়ুম সরদার স্ত্রীকে নিয়ে তার কর্মস্থল নেত্রকোনায় বসবাস করছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তাদের ছেলের জন্ম হয়।
এক বছর ধরে নাগড়া এলাকায় রহুল আমিন নামের এক ব্যক্তির বাসার পাঁচতলা বাসার চারতলার ডি-৩ ইউনিট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন কাইয়ুম সরদার। ভবনটির মালিক রহুল আমিনের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। বৃহস্পতিবার সকালে কাইয়ুম ও তার দুই বছরের শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী মামলা ও রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।